পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه لأننا बंछाश-fन । [ ಆಕಿ ಇಳಿ, ೬೬೩ | বাইয়া”-ভাব, আর জীবনমধ্যাহ্লে প্রধান রাজপুরুষের প্রতিপত্তি এবং তজ্জনিত সহস্ৰপ্রকারের দায়িত্ব ও উৎকণ্ঠ, এ উভয়ে প্রভেদ বিস্তর। " এখন নুতন একটি নামকরণের প্রয়োজন বৈ কি ? তাহার গুরুদেব নাম দিয়াছিলেন, অভয়ানন্দগিরি। অতএব পদোল্পতির জয়োটচারণকল্পে দেওয়ানবাহান্থর কি রায়বাহাদুর অথবা তদ্রপ এতিমধুর আর \কিছু একট-ন বলিয়। অতঃপর এই ইতিহাসে 'gচ্চরণকে আমরা গুরুল্লামেই পরিচিত করিব। عة في গিরিসম্প্রদায়ের যে বেশ, তাই ধারণ করিয়া রাধাচরণ ময়ুরভঞ্জরাজ্যে আসিয়াছিলেন। রাজা চক্রাধিপভঞ্জ নিজে রাজকার্য্যে তেমন মনোনিবেশ করিতেন না । অধিকাংশ সময় র্তাহার জপতপ লইয়া কাটিত । কিন্তু গিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভুপুত্রকে হত্যা করিয়া আনিৰ্বিখা-বাঙলার মসনদে বসিয়াছে, সেই অকৃতজ্ঞ আবার হিন্দুমুসলমানের সমান প্রিয় ধৰ্ম্মরক্ষক মুদ্রিকুলীকে উড়িষ্য হইতে বিদূরিত করিবার আয়োজন করিতেছে, অধৰ্ম্মের এই প্রশ্রয়দান করা তিনি নিতান্ত অবৈধ জ্ঞান করিলেন। দওদেবাচার্য্যের সৃহিত তাস্থার প্রতি ছিল এবং প্তাহারই পরামর্শ ও প্ররোচনায় তিনি বিচক্ষণ মীরহরীবের সহিত সখ্য করিলেন। এখানে বলা আবশ্বক, উড়িয়ার দেওয়ানকে তিনি খুণাক্ষরেওঁ মুর্শদকুলীর অহিতকাজী বলিয়া জানিতে পারেন নাই। তাহার দৃঢ়বিশ্বাস হইয়াছিল, উৎকলে জগন্নাথদেবকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিয়া,রাজা দওদেবাঞ্ছ যে অক্ষয়কীৰ্ত্তি লাভ করিয়াছিলেী, মুর্শদকুলী এবং মীরহৰীৰ তুল্যরূপে তুহো প্রধান সহায় ছিলেন। আসিয়ছে । এই বিশ্বাসের বশবত্ত হইয়া তিনি মীরহরীবের সহিত সন্ধিবন্ধনে বদ্ধ হইয়াছিলেন। পরমহিদু ময়ূরভঞ্জপতির দরবারে রাধাচরণকে সেই সঙ্কটকালে মন্ত্রণাকার্য্যে প্রেরণ করিয়া মীরহবীব এক তীরে দুই শিকার খেলিয়াছিলেন। তাহাতে সফল হইয়াছিলেন কি না, পরবত্ত ঘটনাবলীতে দেখা যাইবে। তবে উল্পেশু তাহাব সেইরূপ ছিল। রাধাচরণ ওরফে অভয়ানন্দগিবি ক্রমশ ইহা বুঝিতে পরিলেন । মীরহীলের বাচনিক পরামর্শ এবং পরবত্ত, চিঠিপত্রে যে রাজনৈতিক রেখাপাত হইতেছিল, তাহার তিৰ্য্যগ্ৰগতি উপলব্ধি করিতে তাহার বেশীদিন লাগিল না। সেইজন্ত প্রথম হইতেই তিনি সাবধান হইতে পারিয়াছিলেন । পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ । অভয়ানন্দগিরি ময়ুরভঞ্জরাজ্যের কর্ণধার হইয়া আসিলেন, কিন্তু লোকে বুঝিল—এ ব্যক্তি সন্ন্যাসিফকীর, মহারাজকে যোগবিদ্যা শিখাইতে চক্রাধিপভঞ্জ নিজে চাণক্যনীতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন না এবং কখন তাহার উপযোগিতাও বুঝিতেন না । অভয়ানন্দের সহিত পরিচয় ঘনিষ্ঠ হইলে তাহার প্রতীতি হইল, উপস্থিত ক্ষেত্রে মন্ত্রগুপ্তির শুধু যে প্রয়োজন, তাহা নহে, উহা বাস্তবিক সিদ্ধির পর্থে প্রধান সাধন । তিনি অতঃপর সাধারণের ভ্রম ভাঙিতে অণুমাত্র ব্যস্ত হইলেন না। যোগবিস্কার পারদর্শিতাসম্বন্ধে গিরি। মহাশয়ের যে খ্যাতি রটিয়াছিল,—তাহ অটুট ২ রহিল। অভয়ানন্দ প্রথমে আসিয়া সৰ্ব্বসাধারণের যেরূপ জল্পনা-কল্পনায় বিষয়ীভূত হইয়াছিলেন,