বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ]

、リr”・。

ఆలి ধাহারা সাধক, ধাহার দেশের গুরু, প্তাহার খ্যাতিপ্রতিপত্তির অপেক্ষ না রাখিয়, शिवाश-अवमाननात्र अ*क चौकब्र कब्रिबs দেশের মতি ফিরাইতে চেষ্টা করিবেন—আর ধহার দেশের নায়ক, তাহার দেশকে গতিদান করিৱেন। ষে সকল জাতি স্থির হইয়া বসিয়া নাই, যাহারা চলিতেছে, তাহারা এইভাবেই চলিতেছে। এক দল উপর হইতে তাহীদের শুভবুদ্ধিকে নিয়মিত করিতেছে, আরএক দল বক্ষের মধ্যে থাকিয় তাহদের প্রাণশক্তি-গতিশক্তিকে প্ৰবৰ্ত্তিত কুরিতেছে। এই উভয় দলের পরস্পরে অনেক সময়েই এক মত হয় না, কিন্তু তাই বলিরা যাহারা চালাইতেছে, তাহদের বসিয়া থাকিলে চলে না। কারণ, শিক্ষা শুধু উপদেশে নহে, চলার মধ্যেই শিক্ষা আছে । অতএব এতদিন যে সুরেন্দ্রনাথ বিনা নিয়োগে নিজের ক্ষমতাবলেষ্ট দেশকে সাধারণহিতের পথে চালনা করিয়া আসিয়াছেন, আজ তাহাকে নিয়োগপত্র দিয়া নায়কপদে অভিষিক্ত করিবার প্রস্তাব আমি উত্থাপন করিতেছি। নিয়োগপত্র দিলে তাহার ক্ষমতা সুনিশ্চিত এবং তাহার দায়িত্ব গভীরতর হইবে এবং তিনি কেবলমাত্র শিক্ষিতসম্প্রদায়ের ইংরেজিবিষ্ঠার অভ্যস্ত বুলির প্রতি কৰ্ণপাত না করিয়৷ আমাদের এই পুরাতন দেশের চিরন্তন প্রকৃতির প্রতি নােযোগ করিবেন —যে সকল পদার্থ পরদেশের সজীব কলেবরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যথাস্থা হইতে ভ্ৰষ্ট হইলে এদেশে যাহা অসঙ্গত-আবর্জন-রূপে গণ্য হইবে, অনুকরণের মোহে তাহাকে তিনি আদর করবেন না,— বিরোধমূলক যে সংগ্রামশীলতা যুরোপীয় সভ্যতার স্বভাবগত, যাহা কখনই, এদেশের' মৃত্তিকার মূলবিস্তার করিয়া, ফলবান হইবে না, তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া যে মঙ্গলময় মিলনপরতা, যে অবিচলিত ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ভারতবর্ষের চিরকালীন সাধন, তাহাকেই বৰ্ত্তমানকালের অবস্থান্তরের সহিত তিনি সঙ্গন্তু করিয়া লইবার চেষ্টা কবিবেন । কিন্তু তিনি কি করিবেন না করিবেন,এস্থলে তাহ অনুমান ও আলোচনা করা বৃথা—কেবল ইহাই সত্য যে, তাহার করার মধ্যে আমাদেরই কৰ্ম্ম প্রকাশ পাইবে, দেশ তাহারই মধ্য দিয়া নিজেকে ব্যক্ত কলিবে, তাহারই এক হস্ত দ্বারা নিজের প্রাপ্য গ্রহণ করিবে ও তাঙ্গরই অল্প হস্ত দ্বারা নিজের দান বিতরণ করিবে-ধৰ্ম্মবিরুদ্ধ না ইষ্টলে, সত্যকে লঙ্ঘন না করিলে ইহার বিরুদ্ধে আমরা বিদ্রোহ করিব না এবং এই নিয়ম ওa নিয়ন্তাকে স্বেচ্ছাকৃত সুতরাং অলঙ্ঘ্য বাধ্যতা- . সহকারে মান্ত করাষ্ট আমাদের প্রত্যেকের পক্ষে আত্মসন্মান বলিয়া গণ্য হইবে। এইরূপে সমস্ট্র বলক্ষয়কর দ্বিধা ও সমস্ত আঁত্মাভি । মানের কুশকণ্টক সবলে উৎপাটিত করিয়া যদি একের মধ্যে আমরা আমাদিগকে নিবিড়ভাবে একত্র করিতে পারি, তবে আর আমাদিগকে নিজের শক্তির অক্ষার করিবার জন্ত সৰ্ব্বদা আস্ফালন করিতে হুইবে না, পরের বিমুখতাকে ফিরাইবার জন্ত প্রাণপণে অত্যুক্তির সৃষ্টি করিতে হইবে না—তবেই আমরা শান্তভাবে, বলিষ্ঠ ও ধীরভাবে মহৎ হইতে পারিব এবং নিজের দেশের মধ্যে নিজের যথার্থ মধ্যে সার্থকতা প্রাপ্ত হইয়া থোলিটিকা ধনুষ্টঙ্কারের অত্যুগ্র আক্ষেপ হইতে রক্ষা