বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] জনস্রোত সেইদিকে উন্মুখ হইল । চড়কের দোল পুরামাত্রায় চলিতেছিল এবং দেবাদিদেব মহাদেবের জয়গীতির বিরাম ছিল না। তথাপি দর্শকের অধিকাংশ অন্তমনস্থ হইয়া সেইদিকে চাহিয়া রহিল । চতুর্থ পরিচ্ছেদ । রাইবনীদুর্গ ঠিক কতকgলর, বলা শক্ত । বাঙলার কোন ইতিহাসে ইহার উল্লেখ নাই। অথচ মোগলমারি ও জুলেশ্বর রণভূমির মধ্যস্থলে সুবর্ণরেখার পরপারে উংকলবয়ের সিংহদ্বারস্বরূপ এষ্ট তুর্জয় দুর্গ আজি ও বিরাজ করিতেছে। ইঙ্কার প্রাকারসকল এখন ও অনেকস্থলে এরূপ নুতন যে, দেখিলে মনে হয়, অপেক্ষাকৃত আধুনিককালে দুইএকবার সংস্কৃত হইয়া থাকিবে । জ্যোৎস্নারাত্রি | §§ সৈকতভূমির নিদর্শন ধরিলে সুন্দেহমাত্র থাকে না যে, একদিন তটিনীকুলরাজ্ঞী সুবর্ণরেখা এই দুর্গপাদমূল ধৌত করিয়া প্রবাহিত হইতেন। এই নদীপুলিনবাসীরা বলিয়া থাকে, কমলার মতই ইনি চঞ্চল, কবে বাস্তুভূমি ছাড়িয়া কোন জনপদকে অনুগৃহীত করিবেন, বলা যায় না। ফলত দেখা যাইতেছে, সুবর্ণরেখা ক্রমশ যত দূরে সরিয়া পড়িয়াছেন, রাইবনীদুর্গও ততই ত্ৰসম্পদভ্ৰষ্ট হইয়াছে। বর্গার হাঙ্গামার সমুদ্র এই দুর্গের ভগ্নদশ এখনকার মত সম্পূর্ণ হয় নাই। তখনও কৃত্রিম-থাতে নদীর জল দেখিতে দেখিতে ইহার পরিখাগুলিকে পরিপূর্ণ করিয়া ফেলিত। রাজপ্রাসাদ জনমানবশূন্ত হইলেও পুরাতন রাজবংশের সহিত একেবারে সম্বন্ধশুস্ত হয় নাই । কিন্তু সে রাজবংশের পূৰ্ব্বগৌরবস্তুতি ছাড়া আর বড় কিছু ছিল না। ক্রমশ । -aman susmama জ্যোৎস্নারাত্রি। ج. . . چکی ھیخ5^35 সহসা কেন ঘুমের পরশন চক্ষে মোর লাগে ; সারাদিনের অশ্রবরষণ চিত্তে নাহি জাগে ! স্বপ্নে-দেখা অফুট-স্মৃতিপ্রায় অতীত বাথা কোথায় মিলে যায়, মাকাশ জুড়ি পরাণ ভরি’ আজ উদয় নবরাগে ; সারদিনের অশ্রুবরষণ চিত্তে নাহি জাগে |