পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] সেইজন্ত, মানুষের মনে সৌন্দৰ্যবোধ যে এমন প্রবল হইয়া আছে, সে আমাদের বিকাশ ! খাইবে বলিয়াই। বিপদ থাকে ত থাক্‌, उॉर्श বলিষ্ট বিকাশের পথকে একেবুরে পরিত্যাগ করিয়া টর্মলে মঈদুনাই। • বিকাশ বলিতে কি বুঝায়, সে কথা পূৰ্ব্বেই বলিৰুছি।. সমগ্রের সঙ্গে প্রত্যেকের যোগ যতরকম করিয়া যতদুর ব্যাপ্ত হইতে থাকে, ততই প্রতীেকের বিকাশ। স্বৰ্গরাজ ইন্দ্র যদি আমাদের সেই যোগসাধনের বিঘ্ন ঘটাইবার জন্যই সৌন্দর্য্যকে মর্ত্যে পাঠাইয়া দেন, ইহা সত্য হয়, তবে ইন্দ্রদেবের সেই প্রবঞ্চনকে দূর হইতে নমস্কার করিয়া দুই চক্ষু মুদিয়া . থাকাই শ্রেয়, এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে। কিন্তু ইন্দ্রদেবের প্রতি আমার লেশমাত্র অবিশ্বাস নাই। র্তাহার কোনো দুতকেই মারিয়া খেদাইতে হইবে, এমন কথা আমি * বলিতে পারিব না। এ কথা নিশ্চয় জানি, সত্যের সঙ্গে আমাদের হৃদয়র প্রগাঢ় এবং অখণ্ড মিলন ঘটাইবার দুই সৌন্দর্যবোধ. হাসিমুখে আমাণ্ডুে হৃদয়ে অবতীর্ণ হুইয়াছে। সে কেবল বিনা-প্রয়োজনের মিলন - সে কেবলমাত্র আনন্দের মিলযু। , নীলাকাশ যখন..নিতান্তই শুধুশুধু আমাদের হৃদয় দখল করিয়া সমস্ত শুামন্স পৃথিবীর উপর , তাহর জ্যোতিৰ্ম্ময় পীতাম্বরটি ছড়াইয়া দেয়, তখনি আমরা বলি, মুনীর। বসন্তে গাছের নূতন • কচিপাত বনলক্ষ্মীদের আঙুলগুলির মত যখন একেবারেই বিনা আবগুকে আমাদের দুই চোখকে ইঙ্গিত করিয়া উকিতে থাকে, তখনি আমাদের মনে সৌন্দৰ্যরত্ন উছলিয় উঠে। কিন্তু সৌন্দৰ্য্যবোধ কেবল সুন্দরনামক সৌন্দর্ঘ্য ও সাহিত্যু করিয়া 4 সত্যের একটা অংশের দিকেই আমাদের হৃদরকে টানে ও বাকি অংশ হইতে আমাদের হৃদয়কে ফিরাইয়া দেয়, তgহার এই অন্তায় বদনাম কেমন করিয়া ঘুচান যাইবে, সেই কথাই ভাবিতেছি। . .

  • , e - আমাদের জ্ঞানশক্তিই কি জগতের সমস্ত,

সতকৈই এখনি আমাদের জানার মধ্যে আনিয়াছে ? আমাদের কৰ্ম্মশক্তিই, কি জগতের সমস্ত শক্তিকে আজই আমাদের ব্যবহারের আয়ত্ত করিয়াছে ? জগতের এক অংশ আমাদের জান, 'অধিকাংশই অঙ্গমা, বিশ্বশক্তির সামান্ত অংশ আমলে কাজে খাটিতেছে, • অধিকাংশকেই আমরা ব্যবহারে লাগাইতে পারি নাই। তা ইউক, তবু 'আমাদের জ্ঞান সেই জান-জগৎ ও না-জানা জগতের দ্বন্দ্ব প্রতিদিন একটু একটু ঘুচাইয়া চলিয়াছে—যুক্তিজাল রিস্তার করিয়া জগতের সুমন্ত সত্যকে ক্রমে আমাদের বুদ্ধির অধিকারে আনিতেছে ও জগৎকে আমাদের মনের জগৎ, ফ্লামাদের জ্ঞানের জগৎ করিয়া তুলিতেছে ; আমাক্ষের কৰ্ম্মশক্তি জগতের সমস্ত শক্তিকে ব্যবহারের দ্বারা মে ক্রমে স্থাপন করির তুলিতেছে এবং বিদ্যুৎ-জল-স্কগ্নি-বাতাস দিনে দিনে আমদেরই বৃহৎ কৰ্ম্মসুর হইয় উঠিতেছে। • আমাদের সৌন্দৰ্য্যবোধও ক্রমে ক্রমে সমস্ত জগৎকে আমাদের জানন্দের জগৎ ভূমিত্ত্বেছে—সেইন্ধিকই তুমি, গতি । • জ্ঞানের দ্বারা সমস্ত জগুতে আমার মন ব্যাপ্ত হইবে, বর্ষের দ্বারা সমস্ত জগত্ত্বে আমার শক্তি ব্যাপ্ত হইবে এবং সৌন্দৰ্যবোধের দ্বারা সমস্ত জগতে আমার ত্বানন্দ ব্যাপ্ত হইবে, মনুষ্যত্বের • ইহাই লক্ষ্য । অর্থাৎ জগৎকে