পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ . " চ্ছায় জমিদারগণ পূৰ্ব্বাপেক্ষ এক্ষণে কোর্টঅব ওয়ার্ডসের অধীন হইতে পারেন। এই সকল “ষ্টেটে”র আয় হইতে জমিদারদিগকে নির্দিষ্ট মাসহারা দিয়া গবমেণ্ট জমিদারের ঋণ পরিশোধ করেন । গরমেন্ট দেখিতেছেন, অনেক জমিদারই ঋণে জড়িত, কেহ বা চরম বিপৎকালে কোট অব ওয়ার্ডসের অধীন হন। than cure যে একটা ইংরেজি প্রবাদ আছে, তদনুসারে গবমেন্ট এরূপ মনে করিতে . পূরেন যে, জমিদারগণ যাহাতে ঋণে আদেী জড়িত না, হন, তাহার বিধান করা উচিত। তৰ্জ্জন্ত এখন যেমন গবমেণ্টকৰ্ম্মচারীকে আয়ের হিসাব দেখানর কথা উঠিতেছে, পরে সেইরূপ ব্যয়ের হিরাব দেখানর কথা উঠবে। অন্তত এরূপ বিধান হইতে পারে যে, যখনই কোন জমিদার কর্জ লইবেন, রেজিষ্টারী আপিস্ Prevention is , better হইতে খতের নকল কালেক্টরের নিকট পেশ, { হুইবে। যখন কালেক্টর দেখিবেন যে, কোন জমিদারের খাটি মুনাফার দ্বিগুণ বা তিনগুণ ঋণ হইল, তখনই তাহার জমিদারী কোট -অবংওয়ার্ডসের অধীন করা হইবে। গবমেন্ট যদি ভুবশেষে দেখেন যে, অধিকাংশু জমিদার-প্রজার কোন হিতকুর কার্য্য করেন নীল কেবল করসংগ্রাহক ও করভোগী মাত্র, তখন প্রত্যেক জমিদারকে আয়ুের শতকরা এত ট্রাক প্রজার হিতার্থে ব্যয় করিতে হইবে এবং নির্দিষ্ট টাকা তিনি ব্যয় করেন কি না, তাহ স্থির করিবার জন্য জমিদার গবমেণ্টকে তাহার বয়ের হিসাব দেখাইতে বাধ্য হইবেন। দশশালার বন্দোবস্তে বল্পষ্ট ཅྀག། ༣. সদর-খাজনা বুদ্ধি করিতে পারেন না, কিন্তু বঙ্গদর্শন। [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪। প্রজার মঙ্গলার্থে জমিদারকে কতক টাকা ব্যয় করাইতে বাধ্য করিতে পারেন, গবমেণ্ট এইরূপ তর্ক করিবেন । , ●影 গবমেণ্ট এতদিন সদর-খাজনা যাহাতে স্বচারুরূপে আীয় হয়, তাহাই প্রধানত4ক্ষ্য করিয়াছিলেন। এখন দেখিতেছেন, শিক্ষিতলোক অসন্তোষযুক্ত আন্দোলনের তরঙ্গতুলিয়াছে ; কৃষককুল অর্থাং দেশের অধিকাংশ লোক গবমেণ্টের প্রতি সস্তুষ্ট থাকিলে এই আন্দোলনে গবমেন্টের কোন বিপদ । হইবার সম্ভাবনা নাই। “গবমেণ্ট ইহাও দেখিতেছেন, বঙ্গদেশের দ্বারে দুর্ভিক্ষরাক্ষসী দণ্ডায়মান ; প্রজা অন্নাভাবে মরিতে পারে। নিজের ক্রটি কেহ স্বীকার করিতে চাহে না । গবমেণ্ট ও চাহেন না । সুতরাং যত দোষ জমিদারের ; জমিদারের ক্ষমতাকে ক্ষীণ করা তাবগুক। • * আরও গবমেণ্ট মনে করিতে দশশালার বন্দোবস্তের, এমন বঙ্গদেশে জমিদারগণের প্রবৃদ্ধি হইল না। অধিকাংশ জমিদারই ঋণে জড়িত্ব। সাধারণের মঙ্গলজনক বহুব্যয়সাধ্য কার্য সম্পন্ন করিবার অর্থসঞ্চয় করা.দূরে থাকুক, অনেক জমিদার সময়ে সময়ে ধার না করিয়া সংসার চালাইতৃে পারেন না। যে উদ্ধৃত্ত টাকায় দেশের ও প্রজ,র হিতকর কার্য্য হওয়া সম্ভব ছিল, পারেন যে, সুবিধাসত্ত্বে ত্বাহ উকিলমোক্তারের ও মহাজনের হন্তে দ্রুতবেগে যাইতেছে, এবং তাহাতে স্নেহশূন্ত, বণিকবৃত্তিসার নূতন নুতুন জমিদারের উদ্ভব হইতেছে। এই নূতন জমিদারগণ জমিদারীকে কেবলমাত্র, একটি ইনভেষ্টমেন্ট” টাকা থাটাইবার উপায়মাত্র বিবেচনা করেন, মজুৰ্য্যে