পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ ' दक्रम-नि । [ ৭ম বর্ষ, বৈশাখ, ১৩১৪ হইত। সে দিন অপরাঃে রাশিরাশি সন্তোবিকসিত শ্বেত এবং রক্তোৎপলে তিনি বিভূষিত হইতেন। দেবমন্দিরের সর্বত্র বিকচ কমলের সজ্জা ও সৌরভ এবং সন্ধ্যার প্রাক্কালে সে শোভবিবিধ আলোকমালায় উদ্ভাসিত হইয় ਚੋਲਿੰਠ ‘’ @ রাজবাটীতে তখন বারমাসে আঠার পাৰ্ব্বণ এবং সকল কাজের প্রধান অঙ্গ ব্রাহ্মণঠাকুরদের ভোজনব্যাপার। এই পুষ্পোৎসৰু উপলক্ষেও তাহার কোনক্রট হইত না। মহারাণী "সাময়িক নানাবিধ সুমিষ্ট ফলমূল সংগ্রহ করাইয়া এই সময়ে ব্রাহ্মণদের মত সকলশ্রেণীর অতিথি-অভ্যাগতগণকে পরম্যত্নে আহার করাইতেন । অন্তান্ত সরিকের গৃহেও এই পৰ্ব্বোপলক্ষে যথেষ্ট ধুমধাম হইত। ফলত নূতন বৎসরের প্রথম দুইমাস 'এইরূপ ক্রমাগত ধৰ্ম্মসঙ্গত বসন্তোৎসবু আর কোথাও আচরিত to হইত কি না, জানি না । so মহারাণীমাতার পিত্রালয়েও গৃহদেবতার এই পুষ্পসজ্জার মহোৎসব বরাবর অনুষ্ঠিত, হুইয়া আসিয়াছে। তদুপলক্ষে নিমন্ত্রিতদের সভায় রাজবাটাতে তাম্রকুটসেবন যেরূপ নিষিদ্ধ ছিল, এড়ানেও সেইরূপ । প্রায় ত্রিশ কং প্রত্বের” কথা বলিতেছি। - একবার এই সময়ে স্বর্ণলতা”র প্রণেতা ডাক্তার তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যার সরকারীকার্যোপলক্ষে গুটিয়ায় উপস্থিম্ভ ছিলেন। “বাবুর বাড়ীতে" (মহারাণীর, পিতৃগৃহে ১ পদ্মযাত্রার দিন তাহারু ও আর কয়জন গবমেণ্টকুৰ্ম্মচারী এবং স্কুলমাষ্টারদের নিমন্ত্রণ হইয়াছিল। স্থানীয়ু বিস্তর - ভদ্রলোক সমবেত হইয়াছিলেন এবং তাঁহাদের ক্লার ইংরেজিনবশ কয়টিরও আদর-অভ্যর্থনার কোন ক্রটি হয় নাই। কিন্তু প্রথবিরুদ্ধ বলিয়া “তামাক দিবার” কোন ব্যবস্থা ছিল না । এখানে বলিলে বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে, দেবাদির, অর্চনাস্থলে তামাকের, চলন নিতান্ত আধুনিক প্রথা, পূর্বে এরূপ ছিল না। অভিজ্ঞ ব্ৰাহ্মণপণ্ডিতদের মুখে শোনা যায় যে, নবদ্বীপাধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় পুত্র শিবচন্দ্রকে বলিয়াছিলেন, যে সকল ব্রাহ্মণ তামাকসেবা করেন, তাহাদিগকেও প্রণাম করিও। সে যাহা হউক, নিমন্ত্রিত শিক্ষিত: বাবুকয়টির কাছে ইহা বড় বিসদৃশ বোধ হইতেছিল এবং “তামাক তামাক” করিয়া তাহার অধীর হইয়া উঠিতেছিলেন। তাহাদের তত্ত্বাবধানের জন্য যে ( আমলা ) ভদ্রলোকটি নিযুক্ত ছিলেন, তিনি গলবস্ত্র হইয়া বিনীতভাবে জানাইলেন যে, সে ক্ষেত্রে তামাকসেবন নিষিদ্ধ। গঙ্গোপাধ্যায়মহাশয় ইহাতে অপমামজ্ঞান করিয়া তৎক্ষণাৎ সভাস্থল ত্যাগ করিয়া গেলেন। তিনি যে আহত যুবকদলের অগ্রগণ্য হইয়া আসিয়াছিলেন, তাহার ভিতর কেহ কেহ প্রথমে ব্যবহারট অনুমোদনীয় নহে ভাবিয়া ইতস্তত করিয়াছিলেন, কিন্তু শেষে • দলপতিকে • অনুসরণ করিতে বাধ্য হইলেন। পুটিয়ার ভদ্রসমাজ ইংরেজীওয়ালাদের এই জাচরণ অবশ্য প্রশংসমানচক্ষে দেখেন নাই এবং ক্রমে ইহা মহারাণীমাতার গোচর হইয়াছিল । কিন্তু তিনি ইহাতে কোন বিরাগপ্রকাশ করেন নাই। বরং ঘটনার ৩৪দিন পরেই তিনি তারকবাবুপ্রমুখ এই দলটিকে রাজবাটীতে নিমন্ত্ৰণ করিয়া পরমসমারে প্রচুর আহার করাইয়াছিলেন। সেদিন অৰষ্ঠ স্বৰালিত-পর্যসেবা-তাম্ৰকুট-সেবা বাদ যায়