পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মতত্ত্ব। مصيف جميعجهس. জীব হইতে জীবের উৎপত্তি হয়, কিন্তু জৈব জিনিষ হইতে জীবের উৎপত্ত্বি হইতে পারে কি না, এই প্রশ্নটি লইয়। প্রায়"চাবিশত বৎসর ধরিয়া বৈজ্ঞানিকদিগের মধ্যে খুব আলোচনা চলিতেছে । ব্যাপারের নূতন নুতন তথ্য প্রকাশ হইয় পড়িতেছে। একটা কথা আছে—“নাসে মুনির্যস্য মতং ন ভিন্নমূ”। আমাদের বৈজ্ঞানিকগণ ঋষি না হইলেও, যতদিন পর্য্যস্ত র্তাহার যে-কোন গতিকে এক একটা উদ্ভট সিদ্ধান্ত খাড়া করিয়া তর্ককোলাহলের স্বষ্টি করিতে না পারেন, ততদিন পর্যস্ত র্তাহাদিগকে কেহ বৈজ্ঞানিক বলিয়াই মানে না। সেদিন একটা কাগজে পড়িতেছিলাম, আমেরিকাবাসী একজন ভদ্রলোক আমাদের পৃথিবীর একশ্চন্দ্রা-অপবাদ ক্ষালন করিবার জন্ত উঠিয়াপড়িয়া লাগিয়াছিলেন, এবং ইহার ফলে তিনি নাকি আমাদের পৃথিবীর একটি দ্বিতীয় চন্দ্রের সন্ধান পাইয়াছেন। বলা বাহুল্য, এইবকম আজগুবি সংবাদ বৈজ্ঞানিকভাসার প্রকাশ করিয়া একটা গোলযোগ না বাধাইলে, আমরা ঐভদ্রলোকটির অস্তিত্বের কথাটি পর্য্যস্ত জানিতে পারিছ না। যাহা হউক, যখন প্রশ্ন উঠিল, -জীব কি কেবল জীব হইতেই প্রস্থত ? তখন একদল পণ্ডিত তাহাতে “ই।” দিলেন, এবং আর কতকগুলি বৈজ্ঞানিক না” বলিয়া একটা বৃহৎ দল গড়িয়া তুদিলেন। --۹ هيخ প্রতি বৎসরই এই জড়বিজ্ঞানের প্রথম যুগে ঐ দাবাদী দলটিই খুব পুষ্ট ছিল। ইহার উচ্চকণ্ঠে বলিতেন,—প্রাণীর জন্মের জন্ত সকল-স্থানে পিতৃমাতৃত্ব আবশ্যক হয় না, আমাদের সমক্ষে নিয়তই অজৈবপদার্থ হইতে আপনা হইতে জীবের জন্ম হইতেছে। ইহার উদাহরণ চাহলে তাহার বলিতেন, মৃতজীবের দেহ কিছুদিন রাখিয়া দাও, কয়েকদিন পরে দেখিবে, তাহাতে ছোটবড় নানাপ্রকার পোক জন্মিয়াছে । এই সকল কীটকে কখনই মৃতজীবের বংশধব বলা যায় না, সুতরাং সেগুলি যে আপন হইতেই গলিত জীবদেহে উৎপন্ন হয়, তাহ আর অস্বীকার করিবার উপায় নাই । সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে হেলমণ্ট(Van Helmont )-ztros abaros assনিক স্বতোজননবাদীদিগের মধ্যে বিলক্ষণ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন । ইক্লাব অশেষ কীৰ্ত্তি আজও তাহার নানা পুস্তকে লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। স্বতোজননের উদাহরণ দিতে গিয়া ইনি বলিয়াছিলেন, একটি পাত্রে কতকগুলি ধান্ত বা গোধূম রাখিয়া একখণ্ড অপরিচ্ছন্ন বস্তদ্বারা যদি তাহার মখ বন্ধ করা যায়, তবে একুশদিন পরে দেখিবে, বঙ্গেব দুৰ্গন্ধ বাপ শস্তোর সহিত মিশিয়া বড়বড় মূষিক উৎপন্ন করিয়াঁছে। এই বৈজ্ঞানিকটি দুর্গন্ধকেই স্বতোজননের মুলকারণ বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন । জলাভূমির নীচেকার স্বৰ্গন্ধময় বাষ্পই ভেক, জোক ও