পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

が&* একটা বড়রকমের পার্থক্য আছে । আমরা যাহাদিগকে জৈবপদার্থ বলি, তাহাঁদের প্রত্যেকটিই কতকগুলি অতি স্থঙ্ক সুক্ষ জীবাণুদ্বারা গঠিত।. অজৈব জিনিষের গঠনে অবগু এই জীবাণু আবশুক হয় না । জৈবজিনিষ যখন সজীব থাকে, তুখন তাহদের দেহের সেই জীবাণুগুলি বেশ জোটু বাধিয়া থাকিতে পারে। কাজেই তখন আমরা তাঁহাদের অস্তিত্বলক্ষণ দেখিতে পাই না । জীব মরিয়া গেলে যখন তাহার গঠনোপাদান অর্থাৎ সেই জীবাণুগুলি দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইতে আরম্ভ করে, তখনি তাঁহাদের কার্য্য দেখা যায়। বুফন্‌সাহেবের মতে, গলিতমাংসস্থ আণুবীক্ষণিক কাটগুলি সেই বিচ্ছিন্ন জীবাণু ব্যতীত আর কিছুই নয়। রেডির শিষ্যগণের পরীক্ষায় যখন দেখা গেল, আবদ্ধমুখপাত্রস্থ মাংস গলিত হইলেও কীট উৎপন্ন করে না, তখন পূৰ্ব্বোক্ত মতবাদটির উপরেও ঘোর অবিশ্বাস আসিয়া দাড়াইয়াছিল । জগদ্বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক লিবিগৃ-(Liebig) সাহেবের নাম পাঠক অবশুই শুনিয়াছেন । ইনি নানা পদার্থের পচন ও গেজানে ( Fermentation ) প্রসঙ্গে অনেক গবেষণা করিয়াছিলেন। ইহার ফলে স্থির হুইয়াছিল, বায়ুর অক্সিজেনবাষ্প উদ্ভিদ বা প্রাণীর মৃতদেহের সংপর্শে আসিলে, অক্সিজেনের অণুসকল জীবদেহের অণুগুলিকে ভাঙিতে আরম্ভ করে, এবং ইহা দ্বারাই জীবদেহ বিশ্লিষ্ট «Rin wtratfix ( Ammonia ) s অজারকবাষ্প ইত্যাদি প্রস্তুত হয়। \ दघ्राञ्जनि । জৈব ও অজৈব পদার্থের উপাদানের মূলে । [ ৭ম বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩১৪ বাতাসে উন্মুক্ত না রাখিলে কোম , জিনিষেরি পচন স্বর হয় না, তাহ আমরা জানি । কিন্তু জৈবপদার্থমাত্রকেই বায়ুর সংস্পর্শে রাখিবামাত্র যে তাহারা পচিতে আরম্ভ করে, এ কথা ঠিক নয়। চিনি ও শ্বেতসার প্রভৃতি পদার্থ বায়ুতে বহুকাল উন্মুক্ত রাখিলেও সেগুলি বেশ ভাল অবস্থাতেই থাকে। কিন্তু তাহাতে কিম্ব বা পচনবীজ (Yeast ) সংযুক্ত করিলেই সেগুলি গেজিতে আরম্ভ করে। এই ব্যাপার প্রত্যক্ষ করিয়া লিবিগ সাহেল চিনি ও শ্বেতসার প্রভৃতি .জৈবপদার্থকে প্রাণিদেহজ জিনিষ হইতে সম্পূর্ণ পৃথকু বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন। তিনি বলিতেন, দধি, চিনি ও শ্বেতসার প্রভৃতি পদার্থকে যখন আমরা পচনীজযুক্ত করি, তখন সেই বীজের অণুসকল ঐ সকল পদার্থের অণুগুলিকে ভাঙিয়া-চুরিয়া পদার্থাস্তরে পরিণত করিয়া ফেলে, এবং তাহাতেই আমরা দুগ্ধ ও শর্করাকে দধি ও মস্তে পরিণত হইতে দেখি । রেডিসাহেবের শিষ্যগণ যখন স্বতোজননসিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাড়াইয়া তাহার মূলচ্ছেদের ব্যবস্থা করিতেছিলেন, তখন লিবিগের পূৰ্ব্বোক্ত সিদ্ধান্তটি প্রচারিত হওয়ায়, তাছাদের সকল আয়োজন ব্যর্থ হইবার উপক্রম হইয়াছিল । স্বতোজননবাদিগণ এই সুযোগে র্তাহুদের দল বেশ পুষ্ট করিয়া তুলিয়াছিলেন, এবং নবসিদ্ধান্ত অবলম্বন করিয়া নির্জীব পদার্থ হইতে সজীবের উৎপত্তির কথা আবার নুতন করিয়া প্রচার করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন । - স্বতোজননবামীদিগের এই জয়োক্কাস