পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङांवनैौग्न । હ૧. প্রথম সংখ্যা । ] দিলে নহে। কিন্তু স্বপাত্র সহজে মেলে করিয়া বিস্তাবুদ্ধি এবং চরিত্রগুণে ক্রমশ , মিলিলেও যে অর্থবলের প্রয়োজন, তাহ গ্রহের কোন উপায় ছিল না। এদিকের এর ত এইরূপ। অন্যত্র মেয়েটির শিক্ষাক্ষা সম্পূর্ণ • হিন্দুরীতির বহিভূত হওয়াতেও iাল বাধিতে লাগিল। লীলার ছোটমামার গুরবাড়ী হইতুে জনরব উঠিল যে, সে একদিন ত্রে আহারের পূৰ্ব্বে ঘুমাইয়া পড়িলে তাহার ছাটমামী যেমন তাহাকে উঠাইতে গেল, মুনি সে ইংরেজী-ফরাসীতে গালি ত দিলই, পরন্তু হিন্দীতেও নাকি বলিয়াছিল—“তোরা ডু খাইচি !” এই গল্প শুনিয়া কলিকাতাIঞ্চলের শ্বশ্ৰান্থানীয়া মহিলার, চারুবালার পর পর্য্যন্ত খড়গহস্ত হইয়া উঠিলেন। এই সময়ে সংবাদ পাওয়া গেল, বেহারঞ্চিলে নূতন রেলওয়ে-লাইনের এক ষ্টেশনষ্টার বিপত্নীক অবস্থায় বছরখানেক কাটাইয়া কটি বড় মেয়ে খুজিতেছেন। লীলার তুলের সন্ধান করিয়া জানিলেন, পাত্রটির iস পয়ত্ৰিশের মধ্যে এবং বি-এ, পৰ্য্যন্ত ड़िा डिनि cबण७छ्रुत्व চাকরীতে প্রবেশ রিয়াছেন। আর তার প্রথমপক্ষের কোন স্তানও নাই। অতএব এই স্থযোগ উপেক্ষ করিয়া চারুবালা লীলার বিবাহ দিলেন। tহার একমাত্র সাত্মনা এই হইল যে, যত্নে ক্ষিতা আদরের লীলাকে মুখপাত্রের হাতে ড়িতে হয় নাই। vO গারেটো-বিদ্যালয়ে লীলা যে কয়টি ইংরেজ শিকার সঙ্গে পড়িত, • তাহার . মধ্যে iস এডগারের সহিত তাহার বড় সর্থীত্ব ইণ। এডগারসাহেব ছোট কাজে প্রবেশ রেলওয়ের একজন বড় কৰ্ম্মচারী হইয়াছিলেন। একমাত্র কন্যা জুলিয়ার স্নেহে তিনিও সপরিবারে লিলিকে প্রীতির চক্ষে দেখিতেন এবং চক্রবর্হিসাহেবের জীবদ্দশায় সৰ্ব্বন্ধ উভয় পরিবারে সৌহার্দের আদানপ্রদান চলিত । তিনি পীড়িত হওয়ার বছরই পূৰ্ব্বে এডগার পত্নীওদুহিতাসহ স্বদেলে পিয়ছিলেন ফিরিয়া আসিয়া শুনিলেন, মিষ্টার চক্রবর্তী আর নাই। র্তাহার সস্তানদের খবর লইয়া জানিয়াছিলেন, অবস্থাবিপৰ্য্যয়ে তাহারা সুদূর । পল্লীগ্রামে বাস করিতেছে। জুলিয়া দীর্ঘ • নিমাস ছাড়িয়া একএকবার পিতামাতাকে “লিলি’র সংবাদ জিজ্ঞাসা করিলে সেই কথা শুনিতে পাইত । সংস্পর্শকলঙ্ক মুছিয়া, ফেলিবার জন্য ব্যগ্র হইয়াছিলেন,-লীলা জুলিয়ার নামও মুখে - অানিতে পাইত না । 雯 চারুবালা সাহেবসমাজের বিবাহের মাসছয়েক পরেই লীলা স্বামীর ঘর করিতে গেল । ঘর না বলিয়া বন বলিলেই ঠিক্‌ হয়। প্রায় চারিদিকে পাহাড়প্রাচীরবেষ্টিত ক্ষুদ্র মহৎপুর রেলওয়ে-ষ্টেশনের অদূরে ষ্টেশনমাষ্টারবাবুর বাসা । তাহার তিন দিকে অল্পবিস্তুর ধান্ত এবং রবিপ্লক্স । .একপাশ দিয়া শুভ্রকক্ষরখচিত সরল স্বনীর্ব রাজপথ দূরের শৈলনীলিমায় অস্তৰ্হিত হইয়াছে । ক্ষুদ্রকারাগৃহবৎ ছোট ছোট তিনটি ঘর এবং তাছার প্রাঙ্গণটুকু ঠিক সেই মাপের। এই গৃহের গৃহিণী হইয়া প্রথম-প্রথম লীলার মন টিকিত ন। স্বামী নবীনমাধববাবু মাঝে মাঝে সাধ্যমত নুতুন বই সংগ্ৰহু করিয়া দিয়া বালিকার এই • বনবাসক্লেশ কথঞ্চিৎ লাঘৰ