পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা । ] শ্ৰম ন হইলেই যে তাহার, সৰ্ব্বশক্তিতে আঘাত লাগে একথা আমরা স্বীকার করি না। আর আধুনিক পরমাণুর এবং শক্তির নিত্যতাবাদ (doctrines Yof the persistence of matter and force 3 of castião' সিদ্ধান্তও আমাদেরই পক্ষে। অতএব বেদান্তী ঈশ্বর মানেন । ঈশ্বর কৰ্ম্মফলদাতা । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তি । তিনি করুণাময় । তিনি করুণাময় হইলেও সংসারে জর, ব্যাধি, মৃত্যুরূপ দুঃখ থাকিতে পারে। কারণ, ঈশ্বর প্রাণি-কৰ্ম্ম-সাপেক্ষ ইষ্টয়া সৃষ্টি করেন। আমি এজন্মে সেরুপ কাজ করিলাম, যেরূপ জ্ঞান অর্জন করিলাম, শরীব-সম্বন্ধ লাভ করিল। চষ্টতেছে যে জীব অনাদি । ঈশ্বব জীবের ত্র নতেন, নিয়ন্তামাত্র । বেদান্তের ব্রহ্মা গু-সংস্থান পৌরাণিক । উহাতে কোনও বিশেষত্ব নাই। তবে এইটুকু বক্তব্য যে, নক্ষত্র মণ্ডলে এবং মঙ্গল প্রভৃতি গ্রহে ও যে জীবসঞ্চার আছৈ,একথা বেদান্তী মানেন। একমাত্র পৃথিবীই যে জীবের লীলাভূমি, তাহী নহে । বেদান্তের সৃষ্টিরহস্তে কোনও বিশেষত্ব নাই। ঈশ্বর পঞ্চ ভূতস্বহ্ম সৃষ্টি পূৰ্ব্বক, তাহার পৰ্কীকরণে পঞ্চমহাভূত সৃষ্টি করিয়া তদ্বার স্থল প্রপঞ্চের সৃষ্টি করিয়াছেন । এটা আমাদের মোট জড় বিজ্ঞানের ফল । পঞ্চীকরণসকল আচার্য্যের সন্মত নহে। শ্রীমৎ বাচস্পতি ভীমতীতে উহার প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন। শরেশ্বরের পকীকরণ বাৰ্ষিক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এর হইতেছে যে, বাচস্পতি সুরেশ্বরের মবতার লৈ, এইরূপ বিরোধ হইল কেন f বেদান্ত দর্শন। 《 প্ৰাৰ কৰ্ম্মপরিপক্কবশাৎ পুনস্বৰু বাচস্পতিত্বমধিগম্য বহন্ধরায়াম্। ভব্যাং বিধাস্যসিতমাং মম ভাষাটকাম আভুতসংপ্লব মধিক্ষিতি স চ জীয়াৎ ॥ (म'वंश भत्रवृचश्) অতএব মাধবের মতে, ভীমতীতে এবং সুরেশ্বরের গ্রন্থে ভেদ-থাকা সম্ভব নহে। footso (Art of T eaching) i * বেদান্ত গুরুমুখে শুনিয়া বুঝিতে হয়। উপনিষদ না পড়িলে ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মিতে পারে না । গুরুমুখে শুনিয়, পরে মনন নিদিধ্যায়ুনাদি করিলে ব্ৰহ্মজ্ঞান হইবে। “আ স্বপ্তে রামৃতে কালং নয়ে বেদস্তচিন্তয়া । উপনিষদ না পড়িয়া শুধু যুক্তিবলে অদ্বৈতে পহুস্থান অসম্ভব । বিষয়ী এল বিষয়---জ্ঞাতা এবং জ্ঞেয়-এতদুভয় দ্বানেরই ভেদমাত্র, এ তথ্য মুধু যুক্তিদ্বারা স্থাপিত হইবার নহে । উপনিষদের শিক্ষাতত্ত্ব বড় সুন্দর । আজকালকার কি গুরগার্টেন ঋষিদের অবিদিত ছিল না । ছন্দোগ্যে শ্বেতকেতুকে তদীয় পিত কিরূপে উপদেশ দিয়াছেন, একবার মনে করিয়া দেখিলেই, একথা সহজে বুঝা যাইবে । ঋষি বলিলেন এক মাস জলে একটু লবণ (অর্থাৎ এক চাক সৈন্দব ) মিশাও । পুত্র মিশাইল । ঋষি জিজ্ঞাসা করিলেন,"এখন ঐ লবণ দেখিতেছ कि ?” পুত্র বলিলেন “না”। "মুখে দাও । পুত্র মুখে দিল। . ঋষি বললেন, “কি বুঝিতেছ?” “বুঝিতেছি যে সমস্ত জল লবণभब्र' এইরূপে ঋষি ব্রহ্মের সর্বত্র সত্তার কথা বুঝাইলেন। চৰ্ম্মচক্ষুতে তাহাকে দেখিতে • পাই না সত্য, কিন্তু অন্ত উপায়ে, আধ্যাত্মিক আস্বাদনে তাহাকে জানা যাইতে পারে। ঋষি