বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qや● বঙ্গদর্শন । [ ৭ম বর্ষ, ফান্ধন, ১৩১৪ করিলেন। তাহার তুর্য্যনিনাদে আদিষ্ট হইয়৷ পশ্চাতের দশজন সৈন্ত ঘোড়া ছটাইয়া অগ্রসর হইল। ততক্ষণ খাজি উচ্ছ,খল বাহনটাকে ছায়া-সস্কুল বৃহৎ বৃক্ষমূলে বাধিয়া নিজে তাহাতে উঠিবার চেষ্টা করিতেছিলেন, কিন্তু পারিলেন না। অগ্রবর্তী সেনা কয়জন তাহাকে ঘিরিয়া বাধিয়া ফেলিল এবং ੇ সাহেবের ঘোড়া চিনিয়া চোর মনে করিয়া বেচারিকে সকলেই যথেচ্ছ কশাঘাত করিল। দেখিতে দেখিতে পণ্ডাজীও সসৈন্তে পৌছিলেন। তিনি সেই প্রহারে জর্জরিত পাঠান পদাতিককে দুই চারিট প্রশ্ন করিয়াই তাতার সঙ্গীদের অবস্থা বুঝিয়া লইলেন । তারপর পদাঙ্ক নারায়ণের অশ্বসহ দুইজন ঘোড়সওয়ারের জিম্বায় তাহাকে রাজঘাটে রওনা করিয়া অবিলম্বে বনপথের অদূরে উপস্থিত হইলেন। তখন ভারি একটা গোলমাল উপস্থিত হইল। লুকায়িত পাঠানসেনা কয়জন অলক্ষ্যে সৌদামিনী দেবীর অনুসরণ করিতেছিল,—অকস্মাৎ কল্যাণপণ্ডার নেতৃত্বাধীনে তত সৈন্ত আসিয়া পড়ায় তাহারা ছত্রভঙ্গ হইয়া পলায়নপর হইল। ইঙ্গতে কাননতলের শুষ্ক পত্ররাশি তাহদের পদশব্দে মুখরিত হইয়া উঠিল । সুযোগ বুঝিয়া দাসমহাশয়ের লাঠিয়ালের ভিতর কয়জন হল্লা করিয়া তাহাঁদের পশ্চাৎবর্তী হইল। তাহার উপর বিপদ আশঙ্কা করিয়া বিষুণ তেওয়ারি ঘোড়া ছুটাইয়া আসাতে বনপথ আরো ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হইতেছিল।” পঞ্চচম্বাৱিংশ পরিচ্ছেদ । 参 এইপানে নদীর বাক রাজধটি অভিমূখী হওয়ায় বঙ্গগর্জন তীৰ্ণতর শুনাইতেছিল। কিন্তু . অর্থ্য তাহাকে অর্পণ করিতেন । g t 鬱 --- পশ্চাদ্ধাবনের মুস্পষ্ট শারাজি একেররে নিমজ্জিত হয় নাই। শুনিয়া কল্যাণপও তুর্য্যধ্বনি করিলেন। বৃহৎ অজগরবৎ সেই শত সেনা দেখিতে দেখিতে র্তাহুর নেতৃত্বাধীনে মশাল আলোকে উদ্ভাসিত কৃপাণধারিণী মাতৃমূৰ্ত্তির সমীপবৰ্ত্তী হইল। " 象 দেখিয়া অগ্রবর্তী বিষুণ তেওয়ারি কুমারকে নিরাপদ জানিয়া জয়োল্লাসধবনি করিল । ইঙ্গিতে কত্রী ঠাকুরাণীকে সাবধান করিয়া দিবার উদ্দেশ্যে বাহকদের বলিল, “মাকে জানাও, সসৈন্তে স্বয়ং পণ্ডাজী উপস্থিত। কুমার সময় সংক্ষেপ জন্ত বাম্রোতে ভাসিয়া গিয়ু তাছাকে পঠাইয়া দিয়াছেন, আর কোন ভয় নাই!” •পন্থ তাহার জন্ত ততটা লিপদ আলিঙ্গন করিয়াছে শুনিয়া স্নেহে অভিমানে গৌরবে সৌদামিনীর বুক পূরিয়া উঠিল। , তিনি তরবারি অবনত করিলেন বটে, কিন্তু লজ্জায় অধোবদন হইলেন না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি “ঘর হৈতে আঙ্গিনা বিদেশ”-এই যে এদেশীয় যাবনিক আদর্শ মুসলমান রাজত্বের সময় হইতে লব্ধপ্রতিষ্ঠ, হইয়াছে, সৌদামিনী দেবীর শিক্ষাদীক্ষা ঘটনাধীনে ঠিক সে পথে পরিচালিত হয় নাই। স্বামী । ছাড়া সকল পুরুষকেই তিনি সন্তানবৎ জ্ঞান করিতে পিথিয়াছিলেন এবং পরিচিত সকলেই র্তাহাকে মা বলিয়া ডাকিত । দাসমহাশয়ের নিতান্ত অন্তরঙ্গ সমবয়স্ক বন্ধুরাও তাছার মাতৃ ভাবে মুগ্ধ হইয়া সে সম্মান ও বাৎসল্যের তিনিও অৰ্দ্ধাবগুষ্ঠিত হইয় তাহদের সকলেরই সন্মুখীন হইতেন একু আবকত কথাবার্জ বণিতে তাহাতে সেই ক্ষুদ্র বনাস্তবৰ্ত্তী কলরব এবং সঙ্কোচবোধ করিতেন না ।