পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সংখ্যা * } . পাবনা প্রাদেশিক সম্মিলনীর বস্তৃত। ૯૧૭ করিয়াই জয়লাভ করিবার জন্ত ধৈৰ্য্য অবলম্বন করিতে জানে। এই সংযম তাহদের বলেরই পরিচয়। এই কারণেই এত বিচিত্র ও বিরুদ্ধ মতিগতির লোককে একত্রে লইয়া শুধু তর্ক ও আলোচনা নহে বড় বড় রাজ্য ও সাম্রাজ্য চাল: নার কার্য্য সম্ভবপর হইয়াছে l আমাদের কনগ্রেসের পশ্চাতে রাজা সালজ্যের কোনো দায়িত্বই নাই—কেবল মাত্র একত্র হইয়া দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায় দেশের ইচ্ছাকে প্রকাশ করিবার জন্ত এই সভাকে বহন করিতেছেন । এই উপায়ে দেশের ইচ্ছা ক্রমশ পরিস্ফুট আকার ধারণ বিয়া বললাভ করিবে এবং সেই ইচ্ছাশক্টি ক্রমে কৰ্ম্মশক্তিতে পরিণত হইয়া দেশের আত্মোপলব্ধিকে সত্য করিয়া তুলিবে এই আমাদের লক্ষ্য। সমস্ত দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সম্মিলিত চেষ্ট্র গুলমহাসভায় আমাদের -ইচ্ছাশক্তির করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে তাঙ্গার মধ্যে এমন ঔaার্য যদি না থাকে যাঙ্গাতে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সকল শ্রেণী ও সকল মতের লোকই সেখানে স্থান পৃষ্টিতে পারেন তবে তাহাতে আমাদের ক্ষমতার স্বয়ম্পূর্ণতা প্রকাশ পায়। এই মিলনকে সম্ভবপর করিবার জন্ত মঠের বিরোধকে বিলুপ্ত করিতে হইবে এরূপ ইচ্ছা করিলেও তাহ সফল হইবে না এবং সফল ইষ্টলেও তাহাতে কল্যাণ নাই। বিশ্বস্বষ্টি ব্যাপারে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ, কেন্দ্রামুগ ও কেঞ্জাতিগ শক্তি পরম্পর প্রতিঘাতী পথচ এক নিয়মেয় শাসনাধীন বলিয়াই বিচিত্র ** दिकनिष्ठ श्रेइ जेरिफ मैब्रिड्राइ । ब्राड़े গগতেও, নিয়মের দ্বারা সংযত হইয়াও প্রত্যেক "কেই প্রাধান্ত লাভের জন্ত চেষ্টা করিতে না বেtধন দিলে এরূপ সভার স্বাস্থ্য নষ্ট, শিক্ষা অসম্পূর্ণ ও ভবিষ্যৎ পরিণতি সঙ্কীর্ণ হইতে থাকিবে । অতএব মতবিরোধ যখন কেবল মাত্র অবগুস্তাবী নহে তাহা মঙ্গলকর তখন মিলিতে গেলে নিয়মের শাসন অমোঘ হওী চাই। নতুবা বরযাত্রী ও কস্তা পক্ষে উচ্ছ থলভাবে বিবাদ কৰিয়া শেষকালে কিবাহটাইপগু হইতে থাকে । যেমন বাপসংঘাতকে লোহার বয়লারের মধ্যে দ্বাধিতে পারিলে তবেই কল চলিতে পারে তেমনি আমাদের মত-সংঘাতের আশঙ্কা যতই প্রবল হইবে আমাদের নিয়ম-বয়লারও ততই বক্সের ছায় কঠিন হইলে তবেই কৰ্ম্ম অগ্রসর নতুবা অনর্থপাত ঘটিতে বিলম্ব হঠলে না । ● আমরা এ পর্যন্ত কনগ্রেসের ও কন্‌ফারেন্সের জন্ত প্রতিনিধিনিৰ্ব্বাচনের যথারীতি নিয়ম স্থির করি নাই। যত দিন পর্য্যন্ত, দেশের লোক উদাসীন থাকাতে, রাষ্ট্রীয় কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে আমাদের মধ্যে কোনো মতের দুৈধ ছিল না ততদিন এরূপ নিয়মের শৈথিল্যে কোনো ক্ষতি হয় নাই। কিন্তু যখন দেশের মনটা জাগিয়া উঠিয়াছে তখন দেশের কৰ্ম্মে সেই মনটা পাইতে হইবে, তখন প্রতিনিধিনিৰ্বাচনকালে সত্যভাবে দেশের সন্মতি লইতে হইবে। এইরূপ শুধু নিৰ্ব্বাচুনের নহে কুন্গ্রেস ও কনফারেন্সের কাৰ্য্যপ্রণালীরও বিধি সুনির্দিষ্ট হওয়ার সময় অনুসিয়াছে। • • এমন না করিয়া কেবল বিবাদ বঁাচাইয়। চলিবুর জন্ত দেশের "এক এক দল যদি এক একটি সাম্প্রদায়িক কনগ্রেসের সৃষ্টি করেন তবে কনগ্রেসের কোনো অর্থই থাকিবে না। কন্‌গ্রেস সমগ্র দেশের অখণ্ড সভা-বিঘ্ন ঘটিবা ट् छः