পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় সপ্তম খণ্ড.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

لوyA চিত্তদৈন্ত, সৰ্ব্ব ক্ষুদ্রকামন, ঐ শোণিতরঞ্জিত চরণে জলাঞ্জলি দিয়া নিষ্কলঙ্ক ললাটে রক্তচন্দনের অৰ্দ্ধচন্দ্র অঙ্কিত করিয়া জীবনান্তকর মহাযুদ্ধে অগ্রসর হইয়া দেবীর সম্মুখে উদ্ধতশিরে দণ্ডায়মান হও । নর্তশিরে স্তবের দ্বারা করালিনীর তুষ্টসাধনে চেষ্টা করিও না । আহ বেই এই দেবীর পরম পরিতোষ। অস্ত্র নাই বলিয়া আক্ষেপ করিতেছ ? আছে, অস্তু আছে। আপনার হৃদয়ের দিকে চাহিয়া দেখ—প্রেমমন্ত্রে পূত সেবাস্ত্ররূপ শাণিতখঙ্গ তোমার হৃদয়কোষে নিবদ্ধ আছে। যেখানে মৃত্যুরূপ দেবী আপনার করাল কৃপাণমুখে হতভাগ্য জীবকুলের হৃৎপিণ্ড হইতে শোণিতের সহস্ৰ উৎস ছটাইয়া দিতেছেন, সেইখানে তুমিও প্রেমে বীৰ্য্যবান নিভক স্ফীতবক্ষে তোমার এই ভাস্বর সেবাস্ত্র কোষমুক্ত করিয়া দণ্ডায়মান হও । তোমার শত ক্ষতমুখে শোণিত ক্ষরিয়া পড়ক, তোমার মৰ্ম্মস্থান সহস্রষ্ঠা ছিন্ন হউক্‌ - তুমি যুদ্ধে পরায়ুখ হইও না । ভীমার অট্টহাস্তের সহিত তোমারও মৃথনিঃস্থত “অভীঃ অভীঃ” শব্দ ভয়াৰ্ত্ত জীবকুলের কৰ্ণে ধ্বনিত হউকৃ। মহাযুদ্ধে অবসন্ন হইয়া যখন অস্তিমধুলিশয্যায় শয়িত হইবে, তখনও তোমার বলহীন কম্পিতহস্ত আৰ্ত্তের সেবার জন্তই শেষবার প্রসারিত হউক,-ভোমার বীরহৃদয়ের দুর্জয় প্রেম তোমার মরণছায়াথুস্ত আননেও শুভ্ৰস্নিগ্ধ হাস্তে প্রতিফলিত হউক।” এই যুদ্ধের ফল কি, তাহাও সন্ন্যাসী বলিয়াtझ्न । शग्र,—गन नबाबग्रहे हे शूकब ফল। বিশ্বের পুঞ্জীভূত যন্ত্রণার সম্মুখে মহাবীরেরও শক্তি ব্যর্থ হয়। অনন্ত যুদ্ধেও এই অনন্ত বেদনার পরিমাণ অটুট থাকে। ইহাই यन्नन-नि । ৭ম বর্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৪ pessimist বা হুঃখবাদীদিগের শেষ কথা । কিন্তু সাধারণে pessimistঙ্কথাটি যে ভাবে ব্যবহার করেন, সেই অর্থে এই মহাবীৰ্য্য সন্ন্যাসীকে pessimistলামে অভিহিত করিলে কথাটির অপব্যবহার করা হয়। যদি কেহ •জিজ্ঞাসা করেন—“সে কি –যদি সদা পরাজয়ই যুদ্ধের ফল হয়, তবে যুদ্ধ কিরূপে চলিতে পারে ? সদ। পরাজিতের আবার যুদ্ধ কিরূপ ?” তখন অপর একটি প্রশ্নদ্বারা এই শ্রেণীর দুঃখবাদীরা ইহার উত্তর দেন – তাহা এই, “যদি মরি বেই, তবে বাচিয়া থাক কেন ? বাচিয়া থাকার চেষ্টাই যেমন জীবিতের পক্ষে স্বাভাবিক, সেইরূপ জীবনব্যাপী মহাসমরই মহাকালীর ভৈরব আহবানে প্রবুদ্ধচৈতন্ত বীরের পক্ষে স্বাভাবিক । ফল কি হইবে, দেখিবার অবসর বা ইচ্ছা তাহার নাই।” গীতার কথা আসিয়া পড়িতেছে — বহুদিন ধরিয়া, লহুজন্ম ধরিয়া আমরা বহু কবির ললিত বেণুরবে মুখরিত, মলয়মারুতনিষেবিত আমাদের গৃহপ্রাঙ্গণে মুখশ্যায় শয়ন করিয়া স্বগের মিথ্যাস্বপ্ন দেখিতে দেপিতে নিদ্রিত হইয়া পড়িয়াছিলাম। এই নিদ্রা কালনিদ্রায় পরিণত হইবার উপক্রম হষ্টতেছিল। আজ বুঝি আমাদের মোচতঙ্গ ছুটিতেছে, তাই এই মহাবীৰ্য সন্ন্যাসীর তুর্যনিনাদ সাগরগর্জনবৎ আমাদের কর্ণে আলিয়া পশিতেছে — এই তিমিরমধ্যবৰ্ত্তিনী সংহন্নিরূপিণীকে কবি রবীন্দ্রনাথ কিভাবে তাহার কৃষ্ট রঘুপতির চৈতন্তের ভিতর দিয়া দেখিয়াছেন, তাছা দেখিতে চেষ্টা করিব । কল্পিতশত্রুর হৃদয়