বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st 本研*习目 উপরিভাগে এক অঙ্গুলি প্রশস্ত পীতবর্ণ রেখা, ললাটে সিন্দূরের ত্রিপুণ্ডক, অধরোষ্ঠে তাম্বলরাগের ন্যায় রক্তবর্ণ রেখা, গলদেশে দীর্ঘ দীর্ঘ রুদ্রাক্ষমালা, বাহুমূলে রুদ্রাক্ষের মালা, পরিধান কৌপীন। জীবনবন্ধু তাহদের নিকটে বসিয়াছিলেন, তাহদের গায়ের দুর্গন্ধে অধিকক্ষণ সেখানে তিষ্ঠিতে পারিলেন না, যেস্থানে আলো জ্বলিতেছিল, সেই স্থানে সরিয়া গিয়া নিরাসনে বসিলেন। সন্ন্যাসীরা তঁহাকে একটী কথাও জিজ্ঞাসা করিল না। গীত থামিল। ঢাকের বাদ্য থামিলে লোকের কর্ণ যেমন জুড়ায়, সন্ন্যাসিদের সঙ্গীত থামিলে জীবনবন্ধুর কর্ণ সেইরূপ জুড়াইল। কৰ্ণ জুড়াইল, কিন্তু চক্ষু জুড়াইল না। ভ্ৰাণেন্দ্ৰিয় আর একটা উৎকট গন্ধে সস্কুচিত হইয়া আসিল । সন্ন্যাসীরা গাঁজা খাইতে আরম্ভ করিল। গাজা না শাইলে সন্ন্যাসধৰ্ম্ম পালন করা হয় না, প্রায় সমস্ত ভণ্ড সন্ন্যাসীর এইরূপ সংস্কাল । লোকালয়ে দলে দলে সন্ন্যাসী বেড়ায়, নদীতীরে, বৃক্ষতলে, প্ৰান্তরে যে সকল সন্ন্যাসী আডিডা করে, গৃহস্থকে ভয় দেখাইয়া কুলকন্যাগণকে ঔষধ দিবার ভাণ করিয়া, নিকৃষ্ট ধাতুকে স্বর্ণ করিয়া দিবার লোভ দেখাইয়া, যে সকল সন্ন্যাসী ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে চৌৰ্যাবৃত্তির পরিচয় দেয়, তাহারা সকলেই প্ৰায় ভণ্ড ; তাহদের দলে ছেলেকরা সন্ন্যাসীও দুই একজন দৃষ্ট হয় ; কাৰ্য্যতঃ এই প্রকার, কিন্তু সকলেই । তাহারা ধুনী জালাইয়া গাঁজা খায়। কৈলাসন্ধামে অথবা শ্মশানবাসে সদাশিব কি করিতেন, মানুষে তাহ জানে না, মহাযোগী মহেশ্বরকে স্বচক্ষে কেহ দৰ্শন করে নাই, তথাপি ঐ দলের সন্ন্যাসীরা স্পষ্টই বলে, “সন্ন্যাসী শিব গাঁজা খাইতেন, এই কারণে আমাদিগকেও, গাজা খাইতে হয়। গাজা খাওয়াই সন্ন্যাস।” ভণ্ড । সন্ন্যাসীর বাক্যে ইহাই লোকে শুনিতে পায়, প্ৰকৃত সন্ন্যাসের বিষয়, প্ৰায়, কাহারও মুখেই শুনিতে পাওয়া যায়ু না। “আনন্দলহর” অভিধেয় একখানি সদীত-পুস্তক হইতে একটা গীত এই স্থলে উদ্ধত হইল।-- ঝিরিটি মিশ্ৰী-একতাল।। “লাল-কাপুড়ে যারা ভাবে, । সাধু সন্ন্যাসী কি তারাই সুৰে ? চেরা দেখি ত জটাধারী, বেড়ায় ঘুরে সাধু एलf:, . অথচ হয় কাৰ্য এমন পাপী যা না কৰ্ত্তে চাবে।