পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম তরঙ্গ। ] yo : “আধা ঘণ্টা পরে রেল-গাড়ী ছাড়িবে, আপনি এই বেলা চৌকীদারের সঙ্গে’ “ষ্টেশনে যান।” জীবনবন্ধুও শ্যার উপর উঠিয়া বসলেন। : - তরফদার মহাশয় চৌকীদারকে ডাকলেন, চৌকীদার আসিল। বিশেষ শিষ্টাচার জানাইয়া জীবনবন্ধুকে সেই চৌকীদারের সঙ্গে তিনি বিদায় করিয়া দিলেন। জীবনবন্ধু সেই ঘরের চৌকাঠ পার হইবার পর একটী নিশ্বাস ফোলয় । দেবকুমার অনুচ্চ-কণ্ঠে বলিলেন, “বাচা গেল ! পুলিসের পলাতক আসামী !” । অনুচ্চকণ্ঠে উক্ত হইলেও কথাগুলি জীবনবন্ধুর কর্ণে প্ৰবেশ করিল। অন্তরে বের্ণনা অনুভব করিয়া আপন মনে তিনি ভাবিলেন, “ওঃ ! હરે জন্যই আজ রাত্রে ইনি ঘুমাইলেন না, আমাকেও ঘুমাইতে দিলেন না। গল্প শুনিবা DBDS D DB DBDBBDS BBDB BDBBS SDBBDD S DDDS DBDDuB S BDD করিয়া রেল-গাড়ী হইতে আমাকে নিজ বাটীতে আনিয়াছিলেন কি জন্য?? সেই সেকরার দোকানে একজন বলিয়াছিল, আমাকে ধরিয়া দিবার জন্য হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা আছে, এই তরফদার মহাশয় বোধ হয় সে কথা । শুনিয়া থাকিবেন ; সেই পুরস্কারের লোভেই হয় তো সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিলেন ; শেষে আবার কি ভাবিয়া রাত্রি জাগাইয়া অমূনি আমনি বিদায় । করিয়া দিলেন ; হঠাৎ ধরাইলে পাছে কোন প্রকার ফ্যাসাদে পড়িতে হয়, সেই ভয়েই হয় তো ধরাইলেন না। ভবতারণের বাগান হইতে বাহির হইবার পর যে যে স্থানে আমি গিয়াছি, যে সকল লোকের সঙ্গে দেখা করিায়াছি, হারাণ ঠাকুর ছাড়া সকলেই বোধ হয়, ঐ রূপ ফ্যাসাদের ভয়ে । আমাকে ধরাইয়া দেয় নাই। দিলে কিন্তু ভাল হইত, শীঘ্ৰ আমি এই বিপদ হইতে মুক্তি পাইতাম। যে ব্যক্তি ধরাইত, নিশ্চয়ই তাহাকে ফ্যাসাদে পড়িতে হুইত, তাহাতে আর অণুমাত্ৰ সন্দেহ নাই। সত্য যাহারা অপরাধ করিয়া পলাইয়া গিয়াছে, আমি যে তাঁহাদের দলের কেহই নাই, তাহা প্রমাণ হইতে পারিত। অন লোকে ধরাইয়া দিলে যদি প্রমাণ হইতে পারিত, আমি নিজে ধরা দিলে প্রমাণ হইতে পরিবে না কেন, তাহাও আমি অনেকবার চিন্তা করিয়াছি। ধরা fia}, কাহাকে আমি কি বলিব, তাহা আমি জানি না ; কি প্রকার অপরাধ, কোথায় । সেই অপরাধ হইয়াছে, তাহা পৰ্যন্ত আমি "অজ্ঞাওঁ ; নিজে ধরা দিবার উপায় নাই।” । r ' '