বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গরহন্ত । । একমাস এই ভাবে চলিল। মাথার উপর কোন প্রকার বিপদ আছে, ঐ একমাসের মধ্যে জীবনবন্ধু তেমন কোন লক্ষণষ্ট বুঝতে পারিলেন না । মনে করিলেন, সে সংবাদটা কাশী পৰ্যন্ত আইসে নাই, সেই কারণেই কাশীধাম তঁহার পক্ষে নিরাপদ। নিত্য গঙ্গাস্নান করেন, অন্নপূর্ণ-বিশ্বেশ্বর দর্শন করেন, পাঁচজনের সঙ্গে আলাপ করেন, মধ্যে মধ্যে অপরাপর দেব-দেবীগুলিও দর্শন করিয়া আইসেন। এক একদিন সিকরোলে গিয়া আদালতগুলি দর্শন করেন, আদালতেও আপন ভাগ্যের কোনরূপ বিপরীত লক্ষণ জানিতে পারেন না । চিত্ত অনেকটা সুস্থির । த் এই ভাবে দিন যাইতে লাগিল, দেড় মাস কাটিয়া গেল, সেই সময় একটী কথা জীবনবন্ধুর মনে পড়িল। ষে গ্রামে তাহার নিবাস, সেই গ্রামে রতিকান্ত মিত্র নামে তঁহার একটী সহপাঠী বন্ধু আছেন, অনেকদিন তাঁহার সমাচার প্রাপ্ত হন নাই, নিজ বাড়ীর সমাচারও জানিতে পারেন নাই ; বাড়ীতে পত্র না লিখিয়া সেই মন্তিকান্তের নামে একদিন তিনি একখানি পত্র লিখিলেন ; কোথায় আছেন, সে ঠিকানাও সেই পত্রে লিখিয়া দিলেন ; উপস্থিত বিপদের কথা কিছু লিখিলেন না। । ' দশ দিন গেল। রামজীবন পাঠকের একটী নবজাত পুত্রের অন্নপ্রাশন, বাসভবনে শতাধিক ব্ৰাহ্মণ-ভোজনের স্থান সংস্কুলান হইবে না, তজ্জন্য জীবনবন্ধুর বাসস্থানেই ব্ৰাহ্মণ-ভোজনের আয়োজন হইল। অনেকগুলি নূতন লোক সেই ঘিন সেইখানে জীবনবন্ধুকে দেখিল। রামজীবন তাহাদের নিকট জীবনবন্ধুর পরিচয় দিয়া দিলেন। পরিচয় প্রাপ্ত হইয়া সকলেই সন্তুষ্ট হইলেন। * , , ব্ৰাহ্মণ-ভোজন হইয়া গেল, ব্ৰাহ্মণের স্ব স্ব স্থানে চলিয়া গেলেন। সন্ধ্যা হইবার অল্পক্ষিণ বাকী। উচ্ছিষ্ট-পত্ৰাদি প্রাঙ্গণে পড়িয়া ছিল, একটা দশমন্বষীয়া হিন্দুস্থানী বালিকা বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া সেই সকল পত্রের অবশিষ্ট সন্দেশ, জিলিপি, আম, মৎস্য ইত্যাদি কুড়াইয়া কুড়াইয়া খাইতে লাগিল, আপনার জীর্ণ মলিন বসনাঞ্চলে কতক কতক সামগ্ৰী বঁধিয়া লইতে লাগিল। লোকের झ५ দেখিলে জীবনবন্ধুর কষ্ট হইত, দরিদ্র বালিকার সেইরূপ কাৰ্য্য দর্শনে । ऊँशब्र চক্ষে জল আসিতেছিল। একস্থানে फुद्देश काऊब्र-नम्रप्न उठाइ! তিনি দেখিতেছেন, "এমন সময় বাটীর বাহিরে উচ্চ গম্ভীর আওয়াজে কাহারা অঁহার