@{{$還寧1 . গা-চড়া কথাটার উপর যাতে তারা জোর BB BBS BB BDSqAS SMSSSS ভূতলে পদাঘাত করিয়া হরিহর বললেন, মেয়েটাকে ধদি চিরকাল আইবুড়া রাখতে হয়, তাও স্বীকার, তথাপি তেমন ঘরে কখনই আমি মেয়ে দ্বিৰ না। কপালে আগুন লেগেছে, বাজারে আগুন লেগেছে, লাগুৰু, আমি কখন সে বাজারের মাটীতে গড়াগড়ি দিতে পারবো না। টাকার কথা যা তারা বলেছে, গহনার কথা যা তারা বলেছে, দান-সজ্জা যে রকম চেয়েছে, সব কথাতেই আমি রাজি হয়েছি, তার উপর আবার অত বড় উপসৰ্গ, সেটা আমি কিছুতেই লহ করবো না। ঘর বার যদি পাওয়া না যায়, অঘরে মেয়ে দিব, বংশের মাথা হেঁট করবাে, দশের কাছে নিন্দাভাজন হব, সে সব বরং সাহ হবে, মেয়েকে খেমটাওয়ালী করা-ঘোড়সওয়ার করা কখনই সহ কোত্তে পারবো না।” পত্নীকে ঐ কথা বলিয়া, ঘটকীর দিকে চাহিয়া, সক্রোধে হরিহর বাবু শেষকালে কহিলেন, “যা মাগী যা, দূর হয়ে যা ! তোদের সেই ফিরিদী মুরাব্বিদের বলগে যা, ফিরিঙ্গীর ঘরে আমার মেয়ে যাবে না। এখনি চলে যা !! আর একটু যদি দেৱী করিস, নিশ্চয় কাটা খাবি। এই রকম কতকগুলা মাগী জুটেছে, খানকীগিরী ছেড়ে দিয়ে ঘটকী পেশা আরম্ভ করেছে। মজালে মজালে দেশ একেধারে মজালে! বলগে যা, কলকাতা সহরে যা হয়, যা হচ্ছে, যা চলছে, আমাদের এ সকল পল্লীগ্রামে মেয়ের বিয়েতে সে সকল ফিরিঙ্গচাল চলবে না । ছোট ছােট মেয়ের হারমোনিয়ান বাজাবে, ফুলুট বাজাবে, স্বামীর সঙ্গে ঘোড়ায় চড়ে খোলা মাঠে হাওয়া খাবে, বাগানে বাগানে বেড়াবে, বিবিয়ানা চালে চলবে, মজলিসে দাঁড়িয়ে বাইজী হবে, কি ভয়ঙ্কর দিনকাল পড়লো ! দেখে শুনে আর একদণ্ড বাঁচতে ইচ্ছা হয় না।” । গৃহিণী আর এ সকল কথার উপর অন্য কথা বলিতে পারিলেন মু, রাইকিশোরীও শতমুখী-প্ৰহারের ভয়ে সেখানে আর দাঁড়াইতে সাহস করিলনী, আপন মনে বিড় বিড় করিয়া বকিতে বকিতে চলিয়া গেল। সম্বন্ধ ভাঙ্গিয়া গেল। একটী হরিহর দেখান হইল, এমন শত শত হরিহর আমাদের সমাজমধ্যে কন্যার বিবাহদায়ে মুহমান হইয়া হীনবংশে কন্যাদান করিতে বাধ্য হইতেছেন। ধাহাদের কন্স জন্মে, তঁহায়া সকলেই ধনকুবের, উন্মাৰ্গগামী, এমন কথা বলা
