30 বঙ্গল্পহাঙ্গ ", বাসের সময়ে তিনি অনেক তীৰ্থস্থান দর্শন করিয়াছি।’লন। শরীর নিষ্পাপ, মন নিষ্পাপ, তথাপি যাগ কিছু মনের গ্লানি ছিল, তীৰ্থবাসে তাহা ক্ষয় কইয়া” গেল। বৃক্ষাবনে বসিয়া তিনি একখানা সমাটারপত্রে জানিতে পারিলেন, জীবনকৃষ্ণ ঘোষ, নামক এক দলু দলপতি পাঁচশজন সঙ্গীলোকের সহিত দূরদেশে গ্রেপ্তার হটয়াঙ্গে। ভবতারণ শ্ৰীমানীর বাগানের প্রায় দেড় ক্রোশ দূরে এক বিধবা স্ত্রীলোকের বাটীতে ডাকাতী করিয়া, সেই স্ত্রীলোকটিকে খুন করিয়া, পলাষ্টয়া গিছিল, উপযুক্ত আদালতে তাহদের বিচার হইয়া গিয়ছে, তাহারা উচিতমত দণ্ড প্রাপ্ত হইয়াছে। পুলিসের লোকের আলস্যবশে দ্বাদশ বৎসর তাহারা ধরা পড়ে নাট, একটী নির্দোষী লোককে নিপীড়ন করিয়া পুলিসের ধীরেরা কাৰ্য্যদক্ষতা দেখাইয়াঢ়িল, সেই নির্দোষী লোক আমাদের এই আখ্যারিকায় নায়ক শ্ৰীযুক্ত বাবু জীবনবন্ধু মিত্র।
- দুষ্টলোকের কুচক্রে জীবনবন্ধু মিত্ৰ বিনা দোষে গুরুতর ফৌজদারীর আসামীস্বরূপ হুইয়া কত কষ্টভাগ করিয়াছিলেন, সকলে তাহা অনুভব করুন। ভোকাতের নামের সহিত তাহার নামের কিঞ্চিৎ সাদৃশ্য থাকাতেই দুষ্টচক্ৰে ইন্দ্ৰ জালাচক্রের ন্যায় তাহাকে ভোঁ ষ্টো করিয়া ঘুরিতে श्घ्रांछि । नभा5ांद्र-१शপাঠে প্ৰবুদ্ধ হৃষ্টয়া তিনি বঙ্গদেশে ফিরিয়া আইসেন, দুই তিন জন ডিষ্টিক্ট
মজিষ্ট্রেট এবং পাঁচ ছয় জন পুলিস-ইনস্পেক্টরের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তিনি আপনার যন্ত্রণার কথা ব্যক্তি করিয়াছিলেন। তঁহারা আক্ষেপ প্ৰকাশ করিয়া তাঁহাকে সাম্বন দান করিয়াছিলেন। পাছে পুলিসের নামে নালিশ হয়, সেই সন্দেহে দুই জন উপযুক্ত ইনস্পেক্টর স্বেচ্ছাপূর্বক পদত্যাগ করিয়া চলিয়া যান ; জীবনবন্ধু কিন্তু কাহারও নামে নালিশ করেন নাই, নালিশ করিবার উপায়ও ছিল না। পুলিস বড় হু দিয়ার । অনিশ্চিত ব্যাপারে ও অনিশ্চিত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিলে বিপদ আছে, ইন্থা তাহারা জানে, গ্রেপ্তার করা দূরে থাকুক, দ্বাদশ ৰৎসরের মধ্যে তাহারা কেহ জীবনবন্ধুর সম্মুখে দর্শনও দেয় নাই। পুলিসের ভেস্কী কি রকমে চলে, বহু দৃষ্টান্তের মধ্যে এই একটা তাহার ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। রাহমুক্ত হইয়া একবার ভবতারণ শ্ৰীমানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে জীবনবন্ধুর ইচ্ছা হয়, তিনি ভবতরণের উদ্যানবাটীতে গিয়া উপস্থিত হন। তথায় গিয়া নিলেন, দুই ধৎসর পূৰ্ব্বে পক্ষাঘাত-রোগগ্ৰস্ত হই, ভবতারণ আটমাস শয্যাগত