বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম তরঙ্গ । ছিলেন না, কিন্তু ভাষার পত্নী নবরান্দিগী সকল বিষয়ে তাহার উপর গ্ৰন্থৰ কৰিীতৈন, পত্নীর কথার উপর, পঞ্জীর কার্থের উপর কথা কহিতে তাহার ক্ষমৃঙ্খছিল; না, বন্ধুবান্ধব লইয়া নবয়ঙ্গিণী যখন বহিরের বৈঠকখানার আমোদ করিতে বলিতেন, ভারাপদ আপিস হইতে আসিয়া স্বচক্ষে তাহা দেখিতেন, কিন্তু সাহস করিয়া কিছু বলিতে পারিতেন না ; রবিবার কিম্বা অন্যান্য পৰ্ব্বদিবসে তাঁহাকেও সেই । মজলীসে যোগ দিতে হইত। বন্ধুগণ অনুরোধ করিলে এক এক শনিবারে। নবরঙ্গিণী গঙ্গার পরপারে এক একটী বাগানে বেড়াইতে ঘাইতে বাধ্য হইতেন। " নবরক্ষিণীর আরও অনেকগুলি কাৰ্য্য ছিল। সংসারের কাৰ্য্যে তিনি উদাসিনী। ছিলেন, নিজে এক গ্লাস জল গড়াইয়া খাইতেও তাঁহার কষ্ট হুইত, কিন্তু আত্মগ্ৰীতিকর অপরাপর কাৰ্য্যে তঁহার বিলক্ষণ উৎসাহ ছিল। একটী কাৰ্য্য তন্মধ্যে প্রধান ; আজকাল কলিকাতা সহরে অনেক গৃহস্থের অন্তঃপুরে মিশনহাউসের বিবির প্রবেশ করিয়া যুৱতী কামিনীগণকে বিছুশিক্ষা দেন। পল্লীগ্রামের সর্বত্র এখনও সে রীতি প্ৰবেশ করে নাই। যে গ্রামের কথt: আমরা বলিতেছি, সে গ্রামে অথবা তাহার নিকটে মিশন-হাউস ছিল না। মেয়ে পড়াইবার বিবিরা সে গ্রামে যাইতেন না ; অথচ মেয়েরা যাহাতে লেখাপড়া শিখিতে পারে, নবরঙ্গী তদ্বিষয়ে আন্তরিক যন্ধুবতী ছিলেন। যেদিন বন্ধুবান্ধবের মজলীস একটু সকাল সকাল ভাঙ্গিত কিম্বা মজলীস একটু শেষ-বেলায় বসিত, সেই সব দিবসে নবরঙ্গিণী নবরঙ্গে সজ্জিত হইয়া, পাড়া বেড়াইতে যাইতেন ; পাঁচ সাত বাড়ী বেড়াইয়া একখানি বাড়ীতে বৈঠক করিয়া বসিতেন। সেইখানে পাড়ার আট দশটী যুৱতী । কামিনী jä হইত, নবরঙ্গিণী তাহাদিগকে পাঠ দিতেন। এখনকার দিনে যে সকল পুস্তকপাঠ করিতে যুৱতীগণের বেশী আমোদ, যে সকল পুস্তকে নারীজাতির স্বাধীন-প্রেমের গৌরব অধিক, সেই সকল পুস্তক অত্যাদরে পরিগৃহীত হইত। পাঠের সঙ্গে সঙ্গে নবরাদিপী আপন ছাত্ৰীগণের নিকট স্বাধীনস্তার মহিমা বৰ্ণনা করিতেন। পুরুষের স্থায় নারীগণের সকল বিষয়ে সমান অধিকার, পুনঃ পুনঃ তিনি যুৱতীগণকে এই কথা বুঝাইয়া দিতেন। সে শিক্ষার ফল। এত দূর বাড়িয়া উঠিয়াছিল যে, পল্লীবাসী অনেকগুলি* গৃহস্ৰন্থর গৃহে अख्रि স্রোত প্রবাহিত হইয়াছিল। পতি-সেবার কথা, পতিভক্তির কথা অনেকেই 畿9