বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখ ফুলাষ্টয়া রঙ্গিণী কহিলেন, “কি বােকাই বুঝাইতে ছ! রন্ধন করিবে কে ?” একটা রাখুনী রাখিয়া দাও। পাঁচ বাড়ীতে ত রাধুনী আছে, তাদের কি ? আর সংসার চলিতেছে না ? বড় জোর পাঁচ টাকা। সে রাধুনী আমার গোলাম হটয়া থাকিবে, যাহা বলিব, তাহাই করিবে, বুড়ী কি আমার কথা শুনে ? তুমি ত কোন খবর রাখ না, বুঢ়ী যে আমারে কত গঞ্জনা দেয়, সমস্ত আমি সহ করি, বিরলে বসিয়া চক্ষের জলে ভাসি।” কথা বলিতে বলিতে নবরঙ্গিণী ঠোঁট ফুলাইয়া বক্ষের জলে ভাসিলেন। আর তারাপদ ধৈৰ্য্যধারণ করিতে পারিলেন না, কেঁচার কাপড়ে প্ৰিয়তমার নেত্রীজল মুছাইয়া তৎক্ষণাৎ বলিলেন “তুমি শান্ত হও, আমি সমস্ত পাপ বিদায় । कब्रिभा দিব, সমস্ত উৎপাত ঘুচাইব।” পরদিন তারাপদবাবু জননীকে আর ভগিনীকে বাড়ী হইতে বিদায় করিয়া দিলেন। । বালকটী কঁদিতে কঁদিতে পিত্ৰালয়ে চলিয়া গেল, নবরঙ্গিণীর আপদ-বালাই দূর হইল। পাড়ার একজন মুখ ভট্টাচাৰ্য্যের পুত্র সেই সংসারে রন্ধনকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইল । বরাদ হইল, মাসিক বেতন দুই টাকা । আর ७६ বেল খোরাক । , একমাস এইরূপে কাটিল। বৈকালের বন্ধু-বৈঠক খুব জাকিয়া উঠিল। রাঙ্গণীর বক্সবর্গের মধ্যে অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু একটা ব্ৰাহ্মণকুমার ; তাহার নাম কুখ্যবহারী লাহিড়ী। লেখা-পড়ায় তিনি পরম পণ্ডিত। নবরঙ্গিণী বিদুৰী যুৱতী, রূপমাধুরীও মনোহারিণী। প্রথম-দর্শনাবধি কুঞ্জবিহারী সেই রূপে বিমুগ্ধ হইয়াছিলেন । তারাপদ সমস্ত দিন বাড়ীতে থাকেন না, যাহা क्र्.ि अप्भाश-वाश्लान, সমস্তই বৈঠকখানায় চলিতে পারিত, কিছু কিছু अक्शैन धारुिङ । বাড়ীতে গৃহিণী ছিলেন, তারাপদের ভগিনী ছিলেন, একটা বালক ছিল ; বালক প্রায় সৰ্ব্বদা ঘুট্‌ ঘুট্‌ করিয়া বৈঠকখানায় আসিত, আরও : পাঁচজন বন্ধুবান্ধব থাকিত, কাজিহ্মত আমোদ পুর্ণতা প্ৰাপ্ত হইত না। এখন এক প্রকার নিষ্কণ্টক । , የካ' r " ►፡ " 冒。” সময় অসময় বিবেচনা না করিয়া কুঞ্জবিহারী আসিয়া রঙ্গিণীর সহিত । সাক্ষাৎ করিতে লাগিলেন, ভাল ভাল নভেন্স, ভাল ভাল নাটক, দাশরথি । রায়ের চতুর্থ খণ্ড পাঁচালী, রায় গুণাকরের বিদ্যাসুন্দর রঙ্গিণীর হন্তে পরমাদরে, د ؟

  • h

ኮ a', I ؟