পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R * বঙ্গরহস্য।. হইয়া ঘুমাইয়া পড়িলেন। ২ কন্যাটী ঘুমাইলেন না । বাটীর সকলে নিদ্রাভিভূত। রাত্ৰি প্ৰভাত হইবার এক প্রহর থাকিতে উঠিয়া, বাক্সট বক্ষে লইয়া, কন্যাটী গৃহ হইতে পলায়ন করিলেন। শ্বশুরালয় হইতে র্তাহার পিত্ৰালয় প্রায় ছয়ক্রোশ দুর। পিত্ৰালয়ে উপস্থিত হইয়া, সেই কন্যা আপন স্বামীকে পত্র লিখিলেন, “আমার পিতা দরিদ্র, সৰ্ব্বম্ব ঘুচাইয়া তাহার উপর ঋণগ্ৰস্ত হইয়া তিনি আমার বিবাহ দিয়াছেন। তোমার নিজের মূল্যস্বরূপ তুমি তঁহার নিকট হইতে আড়াই হাজার টাকা গ্ৰহণ করিয়াছিলে, সেই আড়াই হাজার টাকা আমি লইয়া আসিয়াছি; বাক্সটী শুদ্ধ সেই আড়াই হাজার টাকা আমি আমার পিতাকে দিয়াছি ; না দিলে সংসারে তিনি দাড়াইতে পারিতেন না । যত টাকা ঋণ করিয়াছেন, চাকরীর টাকা হইতে তাহ শোধ করিতে হইলে পরিবার-প্ৰতিপালনে তিনি অক্ষম হইবেন ; অতএব ঠান্থার ; সেই টাকাগুলি আমি তঁহাকে প্রত্যাৰ্পণ করিয়াছিা! এক্ষণে আমাকে চোর বলিয়া যদি তুমি পুলিসের হস্তে অৰ্পণ করিতে ইচ্ছা কর, স্বচ্ছন্দে পারে ।” বাস্তবিক পুলিসে মকদ্দমা হইয়াছিল। বর সে মকদ্দমায় জয়ী হইতে পারে। নাই । ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব সমস্ত অবস্থা পরিজাত হইয়া মকদ্দমা ডিসমিস করিয়া দিলেন। অবশ্যই সুবিচার হইয়াছিল, পুত্রৰিক্রেতা ভিন্ন বোধ হয় সকলেই একবাক্যে ইহা স্বীকার করিবেন। এটি রহস্য নহে, প্ৰকৃত ঘটনা । হুগলী জেলার মধ্যেই এই ঘটনা হইয়াছিল। পুত্র বিক্রয় নিবারণ-কল্পে এইরূপ উপায় অবলম্বিত হইলে এবং এই প্রকারের দুই একটী মকদ্দমা দায়ের ফুটলে, বােধ হয়, ক্ৰমে ক্ৰমে এই পাপ প্রথা বিদূরিত হইতে পারিব। আমরা সবিনয়ে প্রার্থনা করি, এই দৃষ্টান্ত শ্রবণ করিয়া, যাহারা অন্তরে বেদন অনুভব করিবেন, তঁাহারা যেন আমাদের উপর ক্রুদ্ধ না হন। দুই একজনকে ক্ষুঃ করিবার অভিপ্ৰায়ে আমরা যদি এ কথা বলিতাম, তাহা হইলে * হয় তো আমাদের দোষ হইতে পারিত, কিন্তু দেশকে দেশ, সমাজকে সমাজ য়ে, উৎপাতে জলিয়া উঠিবার | উপক্রম হইয়া উঠিয়াছে, সেই উৎপাতানিলে শাস্ট্রিািজল নিক্ষেপ করিয়া সাধারণ মঙ্গলের উদ্দেশে এই দৃষ্টান্তটা প্রদর্শিত হইল, ইহা স্মরণ করিয়া পুত্রবিক্রয়কারিগণ আঁামাদিগকে ক্ষমা করিবেন। s পূর্বে পূর্বে পুলের পিতা-মাতা বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির করিতেন, আত্মীয়-লোকেীয়া