ER *玛1, পারেন নাই, রবিন্দনও পারে নাই। বামদেব গৃহে না থাকিলে প্ৰায় প্রতিদিন नांद्र-नांद्रौब्र पैक जांच९ अवांश्र श्छेड। সাহেব-সংসারে বাল্যবিবাহ চলে না। রবিনসনের বয়ঃক্রম ষোড়শ কি সপ্তদশ বর্ষ, সেই বয়সে রবিনসন পূৰ্ব্বানুরাগপাত্রী তরুণী উমাকালীকে বিবাহ করিরা ছিল, ইহাও পূর্বে বলা হইয়াছে; অবস্থা স্মরণ করিয়া পাঠকমহাশয় হয় তো বলিতে পরিবেন, রবিনসনের দোষ নাই, রবিনসন স্বেচ্ছাক্রমে আপনাদের সামাজিক নিয়ম ভঙ্গ করে নাই ; রবিনসন স্বেচ্ছাক্রমে বাল্যবিবাহের বন্ধু হয় নাই, যুৱতী উমাকালীই তাহাকে বিবাহ করিয়াছিল। রবিনসনের অনুকুলে এইরূপ সাফাই সত্য সত্য বলবৎ হইবে কি না, তাহা আমরা বলিতে পারি না । নরেশনন্দিনী উমাকালীর ভ্রাতৃজায়া। ;-স্বধৰ্ম্মে থাকিলে এক বাড়ীতে একত্র বাস করা সম্ভব হইত, নূতন ধৰ্ম্ম-গ্রহণে উমাকালী এখন নরেশনন্দিনীর পর হইয়া গিয়াছে। রবিনসন যে বাড়ীতে থাকে, উমাকালী এখন সেই বাড়ীতেই বাস করে। সে বাড়ীখানা নরেশনন্দিনীর বাড়ী হইতে প্ৰায় অৰ্দ্ধক্রোশ দুর। রবিনসনে আর নরেশনন্দিনীতে কিরূপ লীলা-খেলা হয়, উমাকালী তাহা জানিতে পারে না। নরেশনন্দিনীর সহিত নূতম স্বামীর গুপ্তপ্ৰেম, উমাকালী যদি ইহা জানিতে পারিত, সাক্ষী-সার্বুদ রাখিয়া উমাকালী তাহা হইলে ডাইভেসে আইনের আশ্রয় লাইতে পেছুপা হইত না। সেরূপ অবস্থা ঘটলে রবিনসনের বদলে অন্য কোন ডিয়ারসন কিম্বা পিয়ারসন স্বচ্ছন্দে উমাকালীর উচ্ছিষ্ট প্রণয়কমলে নূতন মধুক হইয়া বসিত। সৰ্ব্বদা সেরূপ হইতে পায় না। সাহেবের সমাজ যে প্রকার উপাদানে গঠিত, তাহাতে সে সমাজের বন্ধন যেমন শক্ত, তেমনি শিথিল। নারীবন্ধু পুরুষবন্ধু সমান কথা। --নারীতে নারীতে নির্জনে দেখা-সাক্ষাতে যেমন কোন দোষ ঘটে না, নারী-পুরুষে গুপ্তসাক্ষাৎ-আলাপেও সেইরূপ দােষ নাই, ইহাই ঐ সমাজের পদ্ধতি । সাহেবের সমাজে যে ভাব চলে, সাহেবের ধৰ্ম্ম যাহারা গ্ৰহণ করে, তাহারাও সেই ভাব চালায়,-চালাইতে বাধ্য, ইহাও স্বীকার করিতে হয়। নরেশনন্দিনীর গৃহে স্বামীর অসাক্ষাতে বন্ধুলোকের প্রবেশ, ইহা কোন প্রকার ঘোষের হেতু হইতে পারে না। উমাকালীর গৃহেও ঐরূপ হইতে পারে,
