পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NOSS दशब्रट्ज) ) কেন না, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের “বিধবা-বিবাহ” পুস্তক যখন বাজারে ধাহির হয়, • বিধবা-বিবাহের কথা লইয়া চতুর্দিকে যখন, মহা আন্দোলন হয়, সেই সময় । বাজারে একটা গীত উঠিয়াছিল, “সাত ছেলের মা পতি পাবে, আহলাদেতে আটখানা।” । পতিবিয়োগে সতী যদি কাতরা না হইয়া নূতন পতি পাইবার লোভে আহিলাদে আটখানা হয়, তাহা হইলে বঙ্গে আর সতীত্ব-গৌরব থাকিবে না। সতীত্ব-গৌরব আছে বলিয়াই নিজ সংসারে নারীগণের এতাধিক যত্ন দৃষ্ট হয়। বিধবা হইবার ভয় না থাকিলে নারীগণ কদাচ পতিসেবায় অনুরাগিণী হইবে না । 'পৰ্য্যায়ক্রমে যতগুলি পতি হইৰে, একনারী ততগুলি পতির প্রতি সমান ভক্তি রাখিতে পরিবে, এরূপ আশা করা দুরাশা মাত্র। বিধবার সন্তানের নূতন পিতা প্ৰাপ্ত হইলে যদি তুষ্ট হইতে পারে, তাহা হইলে তাহদের জননী নূতন পতি পাইয়া তুষ্ট হইতে পরিবে, এরূপ অনুমান করা প্ৰকৃতিসঙ্গত হইতে পারে না। একজনের প্রতি ভক্তি জন্মিলে, এক সংসারের উপর মায়া বসিলে, নারী যেমন মন-প্ৰাণ সমৰ্পণ করিয়া সুশৃঙ্খলা পূর্বক সংসারপালন করিয়া, সেই মায়া-ভক্তি অটল রাখি-ত পারে, সেই সংসারে সে যেমন সুখী হয়, বার বার নূতন সংসারে যাইতে হইবে, নূতন লোকের সেবা করিতে হইবে, নূতনের মন যোগাইতে হইবে, এটা জানা থাকিলে কোন সংসারের প্রতিই নারীগণের তেমন যত্ন থাকিবে না। সতীত্বে অনাদর জন্মিলেই সংসার নষ্ট হইবে, ইহা নিশ্চয়। নারীজাতির সতীত্ব-মহিমা ভারতবাসী যেমন জানেন, জগতের অন্যান্য জাতি তেমন জানেন না ; অধিক কথা কি, সতী কাহাকে বলে, সেই সুন্ম কথাটী বুষিতেই অনেক জাতি অক্ষম। সত্তর বৎসর পূৰ্ব্বে লৰ্ড বেণ্টিঙ্ক বাহাদুরের আমলে DBB DBDB DBDuuKD BBDEEE DDD DBBBDBS DDDB BBDDB সেই সহমরণপ্রথার প্রকৃত অর্থ আজিও অবগত হইতে পায়েন নাই। কেবল সাধারণ সাহেব কেন, পুলিশের সাহেব এবং বিচারালয়ের সিবিলিয়ান সাহেব পৰ্যন্ত নারীর সহমরণকে একটা অপরাধ বলিয়া অবধারণ করিয়াছেন। তাঁহাদের মতে সেই অপরাধের নাম “সতী হওয়া।”-সেই অপরাধে কারাবাসাদণ্ডের বিধান আছে। বিচারকেরা সিদ্ধান্ত করেন, স্বামীর জলন্ত চিতায় আরোহণের নাম তৃতী হওয়া। যে সকল পুরুষ সেই অপরাধে অনুমৃত স্ত্রীর সহায়তা করে,