বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গরহস্য - ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e বঙ্গরহস্ত । বিবাহের পর ছয়মাস। ত্রিপুরাসুন্দরী সেই ছয় মাসের মধ্যে কেবল দুইবারমাত্র পিত্ৰালয়ে আসিয়াছিল। পিতার বাটীর নিকটে হরিবিলাসের বাটী। হরিবিলাসের সহিত দেখা-সাক্ষাৎ করিয়া ত্রিপুরাসুন্দরী আপনার মনের তাব তাহাকে জানাইয়া গিয়াছিল ; তাহা আর কেহ জানিত না । পিতার মৃত্যুর পর শ্ৰাদ্ধের সময়ে, ত্রিপুরা যখন পিত্ৰালয়ে আইসে, তখন হরিবিলাস তাহাকে কি কি কথা শিখাইয়া দিয়াছিল, ত্রিপুরা তাহা হৃদয়মধ্যে পোষণ করিয়া রাখিয়াছিল। দ্বিতীয়বার ত্রিপুরা যখন পিত্ৰালয়ে আইসে, তখন একজন দাসী সঙ্গে করিয়া হরিবিলাস তাহাকে আনিতে গিয়াছিল। রঘুনাথ দত্তের পিতা। বৰ্ত্তমান ছিলেন । পুনঃ পুনঃ হরিবিলাসের ভাবভঙ্গী দর্শন করিয়া তাহার চরিত্রের প্রতি রঘুনাথের পিতার কিছু কিছু সন্দেহ জন্মিয়ছিল। রঘুনাথের সন্দেহ জন্মে নাই, ইহাও মনে করা যায় না । শেষবার পিত্ৰালয় হইতে শ্বশুরালয়ে গিয়া ত্রিপুরাসুন্দরী এক মাসের অধিক কাল সেখানে থাকিতে পারে নাই। একবার তাহার জ্বর হইয়াছিল, চিকিৎসকেরা বলিয়াছিলেন, নাড়ীতে জ্বরের বেগ যে প্রকার, উপসর্গ ও বাহা লক্ষণ তদপেক্ষা অনেক প্রবল। এ জাের ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইলে বিকারপ্রাপ্ত হইতে পারে। অষ্টাহের মধ্যে বাস্তবিক বিকারের লক্ষণ দেখা দিয়াছিল। প্ৰলাপ বকিবার সময় রোগী বারিকতক অৰ্দ্ধস্কট স্বরে কি একটা নাম উচ্চারণ করিয়া ছিল, বাড়ীর লোকেরা স্পষ্ট বুঝতে না পারিয়াও চক্ষে চক্ষে বিস্ময় প্ৰকাশ কারিয়াছিলেন। যখন দশ দিনের জার, সেই সময় ত্রিপুরার ভ্রাতার সহিত হারবিলাস দত্ত তাহাকে দেখিতে যায় ; যখন যায়, তখন বৈকাল। সেই রাত্ৰে ত্রিপুরাসুন্দরী যে ঘরে ছিল, সে ঘরে আর দুই ভিনিটী স্ত্রীলোক শয়ন করিয়াছিল। অনেক রাত্ৰি পৰ্যন্ত রোগীর কোন প্রকার উপসর্গ উপস্থিত হয় নাই, সে যেন দিব্য সুস্থির হইয়া ঘুমাইয়া ছিল, যাহারা চৌকী দিতেছিল, রোগীকে সুস্থ দেখিয়া শেষ রাত্রে তাহারা ঘুমাইয়া পড়ে ; প্রাতঃকালে প্ৰকাশ পায়, ত্রিপুরা অদৃশ্য। জার-বিকারগ্ৰন্ত বধু রাত্রিকালে কোথায় পলাইল, বাড়ীর লোকেরা ভাবিয়া অস্থির হইলেন ; নিকটে নিকটে এদিক ওদিক অনেক অন্বেষণ করিলেন, বন্ধুকে কোথাও পাওয়া গেল না। তাহার পিত্ৰালয়ে সংবাদ গেল, সেখানকার লোকেরাও ॐदिङ হইলেন । *iा5 नाऊ १िन्म 呕召@夺仲 इशेठ, ত্রিপুরাসুন্দরী