বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5छन्नाथं वनू বাংলা সাহিত্যের সুবর্ণযুগে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিভা-সূর্যের চতুর্দিকে যে কয়টি অত্যুজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করিয়া বাংলার সাহিত্যাকাশ অপূর্ব আলোকে জ্যোতির্ময় করিয়াছিল, তন্মধ্যে চিন্তাশীল লেখক ও সূক্ষ্মদশী সমালোচক চন্দ্রনাথ বসু अन्Iऊभ । ১২৫১ বঙ্গাব্দের ১৭ ভাদ্র শ্ৰীীরামপুর মহকুমার অন্তর্গত কৈকালা গ্রামে চন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন (১৮৪৪ খ্রিঃ)*।। তাহার পিতা সীতানাথ ও পিতামহ কাশীনাথ* উভয়েই স্বধৰ্মনিষ্ঠ হিন্দু ছিলেন এবং চন্দ্রনাথ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাচীন হিন্দু আদর্শের পরম অনুরাগী হইয়াছিলেন ; পাশ্চাত্য সভ্যতার মোহ তাহাকে আচ্ছন্ন রাখিতে পারে নাই। পঞ্চম বর্ষে যথারীতি হাতে-খড়ি হইবার পর তঁহাদের বাটীতে অবস্থিত পাঠশালায় চন্দ্ৰনাথ উদয় নামক এক গুরুমহাশয়ের নিকট নিম্ন-প্ৰাথমিক শিক্ষালাভ করেন। আট বৎসর বয়সের সময় তাহার পিতা তাহাকে কলকাতায় লইয়া আসেন এবং জেনারেল এসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে প্রবিষ্ট করাইয়া দেন। ছয়মাস মাত্র এই বিদ্যালয়ে পাঠ করিবার পর তিনি গৌরমোহন আঢ্য প্রতিষ্ঠিত ওরিয়েন্টাল সেমিনারির শাখা-বিদ্যালয়ে প্রবিষ্ট হন। এনট্রান্স ক্লাসে উঠিবার এক বৎসর পূর্বে তিনি শাখা বিদ্যালয় হইতে মূল বিদ্যালয়ে গিয়াছিলেন। তখন ওরিয়েন্টাল সেমিনারির মূল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন রসরাজ অমৃতলাল বসু মহাশয়ের পিতা কৈলাসচন্দ্ৰ বসু মহাশয়। চন্দ্রনাথ ইহার বিশেষ প্রিয়পাত্র হইয়াছিলেন; এজন্য র্তাহার সহপাঠীরা প্ৰথমে তাহার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ হইয়াছিল এবং নানা বিদ্রুপাত্মক গান রচনা করিয়া তাহাকে খ্যাপাইত ; কিন্তু শীঘ্রই তাহারা তােহর গুণের পক্ষপাতী ও অনুরাগী হইয়াছিল। বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট একটি ছাত্রসভা ছিল—তাহার নাম ওরিয়েন্টাল ডিবেটিং ক্লাব। চন্দ্রনাথ এই সভায় ইংরেজি প্ৰবন্ধাদি পাঠ করিতেন এবং তর্কবিতর্ক করিতেন। বাল্যকালে চন্দ্ৰনাথ অঙ্কে ও বাংলায় বড় কাচা ছিলেন। সেইজন্য ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনি কোনোপ্রকারে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। করাইয়া দিবেন। এরূপ সংকল্প করেন, কারণ মাসে দশ টাকা বেতন দিয়া প্রেসিডেন্সি কলেজে পুত্রকে উচ্চশিক্ষা দিবার অবস্থা তাহার ছিল না। কিন্তু এই সময়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে একটি সুযোগ উপস্থিত হইল। শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ অ্যাটকিনসন সাহেব* ওরিয়েন্টাল সেমিনারির স্বত্বাধিকারী ও অধ্যক্ষ হরেকৃষ্ণ আঢ্য মহাশয়কে লিখিয়া