বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী >为设 করা হয়”। সে সময়ে মহামহােপাধ্যায় পণ্ডিত মহেশচন্দ্র ন্যায়রত্ন মহাশয় সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বর্ধমান জেলার কাটােয়ার সন্নিহিত দেওয়াসিন গ্রামের রায় বাহাদুর কৃষ্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা হেমন্তকুমারী দেবীর সহিত র্তাহার বিবাহ হয়। শাস্ত্রী মহাশয়ের শ্বশুর সাব-জজ ছিলেন। ইহার পর ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে হরপ্রসাদের মাতৃবিয়োগ হয়। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে মাসিক ১০০ টাকা বেতনে তিনি হেয়ার স্কুলের প্রধান পণ্ডিত নিযুক্ত হন।*।। তাহাকে তখন অনুবাদ বিভাগের শিক্ষকের কার্যও করিতে হইত। ঐ বৎসরই লক্ষীে ক্যানিং কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক ১২ রাজকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় অসুস্থ হইলে হরপ্রসাদকে লক্ষ্মেীয়ে প্রেরণ করা হয়। তিনি তথায় এক বৎসর কাজ করার পর কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক পদ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন।** ঐ বৎসরই তীহাকে বাংলা গভর্নমেন্টের সহকারী অনুবাদক পদে ১৪ নিযুক্ত করা হয়। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি বেঙ্গল লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন এবং আট বৎসর। ঐ কাৰ্য করিয়াছিলেন। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে হরপ্ৰসাদকে কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সংস্কৃতের প্রধান অধ্যাপক ১৫ পদে নিযুক্ত করা হইয়াছিল। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল ১৬ ও সংস্কৃত পরীক্ষার রেজিস্ট্রর পদ লাভ করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে জানুয়ারি মাসে। তঁহার স্ত্রীবিয়োগ হইলে তিনি সরকারি চাকরি হইতে অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু অবসর গ্রহণ করার দিনই গভর্নমেন্ট তাহাকে “বাংলা দেশের ইতিহাস, ধর্ম, রীতি ও প্রচলিত কাহিনি সম্পর্কে সংবাদ প্রদানকারী” পদে নিযুক্ত করেন পুথির তালিকা প্ৰস্তুত করিবার জন্যও গভর্নমেন্ট তাহাকে মাসিক দুই শত টাকা বৃত্তি দান করিতেন; এ কাজও তাঁহাকে আজীবন করিতে হইয়াছিল। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুন হইতে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন পর্যন্ত কয় বৎসর তঁহাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপকের কাজ করিতে হইয়াছিল। এই সকল বেতনভোগী চাকরি ছাড়াও হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়কে প্রায়ই বহু অবৈতনিক কাৰ্য করিতে হইত। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাহাকে “গোপালতাপনী’ উপনিষদের ইংরেজি অনুবাদ কার্যে এবং “নেপালী বৌদ্ধ সাহিত্য’ পুস্তক রচনায় সহায়ক নিযুক্ত করেন। তদবধি তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির কোনো না কোনো কার্যে নিযুক্ত থাকিতেন। একবার হরপ্রসাদকে সোসাইটি হইতে বিবলিওথেকা ইণ্ডিকা’** প্রকাশের ভার দেওয়া হয়। রাজা রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পর তিনি সোসাইটির সংস্কৃত পুথি বিভাগের প্রধান পরিচালক^* নিযুক্ত হইয়াছিলেন। ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বেঙ্গল এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিনিধিরূপে বোম্বাইয়ের রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটির শাখার শতবার্ষিক উৎসবে যোগদান