পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sver বঙ্গ-গৌরব আফ্রিকার দৌত্য কাহিনী”,” “জেনিভ। ভ্ৰমণ’, ‘স্মৃতিরেখা”,” সনাতনী",** ‘আবেগ ও TÈPRIP” ROJiff <R <TTKGT KE<5 qKR Notes and Exaracts, oo Thoughts and Problems*** প্রভৃতি কয়েকখানি ইংরেজি পুস্তকও লিখিয়া গিয়াছেন। দেবপ্রসাদ বিনয়গুণে বিভূষিত ছিলেন। তিনি নিজেকে কখনও প্রচার করিতে চাহিতেন না, বা অপর কেহ করে তাহাও ভালবাসিতেন না। তঁহার অকৃত্রিম বিনয়ের একটি মাত্র উদাহরণ দিলেই যথেষ্ট হইবে। ঢাকার সারস্বত সমাজের পণ্ডিতমণ্ডলী তাহাকে উপাধিন্দান কালে সভাক্ষেত্রে তাহার গুণকীর্তন করিয়া বলেন যে তিনি সকল গুণের অধিকারী বলিয়াই ‘সর্বাধিকারী”। উত্তরে তিনি বলিয়াছিলেন যে, সকলেরই তাহার উপর অধিকার অাছে বলিয়াই তিনি ‘সর্বাধিকারী’, নচেৎ নহেন। বাল্যজীবনে দেবপ্রসাদ হেয়ার স্কুল, সংস্কৃত কলেজ ও প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন ; এবং পরবতী জীবনে উক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের কার্যপরিচালক-কমিটির সদস্য হইয়াছিলেন। এই উপলক্ষে তাহার জীবনের একটি ঘটনা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ছাত্রজীবনে যে-সকল শিক্ষকের নিকট শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন, তাহদের কথা কখনও বিস্মৃত হন নাই। হেয়ার স্কুলে তখন যে-সকল শিক্ষক কার্য করিতেন, তাহারা সকলেই শিক্ষাজগতের এক একজন দিকপাল ছিলেন বলিলে অত্যুক্তি হয় না। কতকটা সেজন্য সে যুগের ছাত্ৰগণের মধ্যে অনেকেই পরবতী জীবনে যথেষ্ট কৃতিত্ব প্রদর্শন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। স্যার দেবপ্রসাদের সময়ে হেয়ার স্কুলের শিক্ষকগণের মধ্যে কোন্নগর নিবাসী গিরিশচন্দ্ৰ দে, বাঁশবেড়িয়ার নীলমণি চক্রবর্তী, মহারাজ নন্দকুমারের বংশধর কৃষ্ণচন্দ্র রায়, শিবনাথ শাস্ত্রী, হরলাল রায়, ক্ষীরোদচন্দ্র রায়চৌধুরী প্রভৃতি সকলেই খ্যাতনামা ছিলেন। স্যার দেবপ্রসাদ ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে হেয়ার স্কুল হইতে এনট্রান্স পাশ করিয়াছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজেও বহু কৃতী অধ্যাপকের নিকট র্তাহার বিদ্যাশিক্ষার সৌভাগ্য হইয়াছিল। দেবপ্রসাদের জ্যেষ্ঠতাত প্ৰসন্নকুমার সর্বাধিকারী সে সময়ে প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন; পরে তিনি সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল হইয়াছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলায় পাটীগণিত, ১৫ বীজগণিত ১৬ ইত্যাদি অঙ্কপুস্তক প্রণয়ন করেন। তখনকার অধ্যাপকগণের মধ্যে ডাক্তার পি. কে. রায়, হরিশ্চন্দ্ৰ কবিরত্ন, নীলমণি ন্যায়ালঙ্কার, ১৭ রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৮ রো, ওয়েব, পার্সিভাল, টনী, সাটুক্লিফ প্রভৃতির নাম শিক্ষিত সমাজের সকলেই জানেন। এম. এ. বি. এল পাশ করিয়া স্যার দেবপ্রসাদ খ্যাতনামা অ্যাটনি গণেশচন্দ্ৰ চন্দ্ৰ মহাশয়ের আটিকেন্ড ক্লার্ক হইয়াছিলেন এবং পরে মিত্ৰ এণ্ড সর্বাধিকারী” নামে অফিস চালাইয়াছিলেন। ধনী হইয়াও তিনি আন্দেী বিলাসী ছিলেন না। তঁহার সাদাসিধা। জীবনযাত্ৰা-প্ৰণালী সকলকেই মুগ্ধ করিত এবং সকলের আদর্শস্বরূপ ছিল। পিতার দ্বিতীয় পুত্র হইয়াও নিজগুণে তিনি বংশের সকলের পরামর্শদাতা এবং সহায়ক ছিলেন। তঁহার জ্যেষ্ঠ সহােদর রায় বাহাদুর ডাক্তার সত্যপ্ৰসাদ চীফ অনারারি প্রেসিডেন্সি ম্যজিষ্ট্রেট ছিলেন। তঁহার চতুর্থ সহােদর ডাক্তার সুরেশপ্রসাদ সুবিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন এবং