পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Sዓw9 রামমোহন ১ কিনীেজ ঃ উত্তর প্রদেশের ফরাক্কাবাদ জেলার শহর। প্রাচীন নাম কন্যাকুজ বা কান্যকুব্জ। ২. কৃষ্ণচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় ঃ রামমোহনের প্রপিতামহ। তিনি তদানীন্তন বাংলার রাজ সরকারে চাকরি করে ‘রায়-রায়ান’ উপাধি পান। ৩. রামকান্ত রায় ঃ রামমোহনের পিতা রামকান্ত রায় মুর্শিদাবাদ সরকারে জায়গাজমি দেখাশোনা করতেন। তিনি ছিলেন তার পিতার পঞ্চম সস্তান। রামকান্তের দ্বিতীয় স্ত্রী তারিণীদেবীর দ্বিতীয়পুত্র রামমোহন। ৪. ব্ৰজবিনোদ বন্দ্যোপাধ্যায় (রায়) ঃ রামমোহনের পিতামহ ব্ৰজবিনোদ বন্দ্যোপাধ্যায় আলিবর্দী খাঁর শাসনকালে বিশিষ্ট রাজকর্মচারী ছিলেন এবং সম্রাট দ্বিতীয় আলম যখন পূৰ্বদেশে ছিলেন, তখন তিনি তঁর অধীনে কর্ম করে সুখ্যাতি অর্জন করেন। ব্ৰজবিনোদের সাতপুত্ৰ ঃ রামমোহনের পিতামহ ব্ৰজবিনোদের সাতটি পুত্র ছিল। নাম-নিমানন্দ, রামকিশোর রাধামোহন, গোপীমোহন, রামকান্ত (রামমোহনের পিত), রামরাম ও বিষ্ণুরাম। ৫। শ্যাম ভট্টাচাৰ্য ঃ রামকাস্তের শ্বশুর। রামমোহনের মাতামহ। ৬ সাতকাণ্ড রামায়ণ ঃ মূল রামায়ণের মোট-কাণ্ড সাতটি বালকাণ্ড, অযোধ্যাকাণ্ড, অরণ্যকাণ্ড, কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড, সুন্দরকাণ্ড, লঙ্কাকাণ্ড ও উত্তরকাণ্ড । ৭. রাধাকান্ত দেববাহাদুর (১০.৩, ১৭৮৩ – ১৯.৪. ১৮৬৭) : পিতা গোপীমোহন, পিতামহ মুনশি নবকৃষ্ণ (রাজা) শোভাবাজার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। প্রাথমিক শিক্ষা ক্যালকাটা অ্যাকাদেমিতে। পণ্ডিতদের কাছে ফারসি ও সংস্কৃত শেখেন। হিন্দুকলেজ পরিচালন কমিটির সঙ্গে প্রায় ৩২ বছর যুক্ত ছিলেন। গৌরমোহন বিদ্যালংকারের “স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক’ পুস্তিকাটি প্রণয়ন ও প্রচারে সাহায্য করেন। ৪০ বছরের পরিশ্রমে তৈরী ৮ খণ্ডে শব্দকল্পদ্রুম’ তাঁর জীবনের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। সরকার কর্তৃক কে. সি. এস. আই এবং রায়বাহাদুর’ প্রভৃতি উপাধি প্রাপ্ত হন। ৮. ডিগবি সাহেৰ ৪ জন ডিগবি ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে এদেশে আসেন ও অন্য সকল সিবিলিয়ানদের মতো সর্বপ্রথম কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে দেশীয় ভাষা শিক্ষা করেন। তারপর তিনি কালেক্টর হন। ১৮০১ এ রামমোহনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ১৮০৫-১৮১৪ পর্যন্ত রামমোহন ডিগবির অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন। “তিনি জন ডিগরির সেরেস্তাদার ও দেওয়ান ছিলেন। রামগড়, যশোহর, ভাগলপুর, রংপুর এই সব জায়গায় তিনি ডিগবির সঙ্গে ছিলেন।. ডিগবির মুনশি হয়েছিলেন রামমোহন বেশির ভাগ সময়। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্র ছিল দৃঢ়। লোকে রামমোহনকে বলত ডিগবির দেওয়ান” । (বিজিতকুমার দত্ত-আধুনিক ভারতের রূপকার রাজা রামমোহন রায়। ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ৩য় মুদ্রণ ২০০২। পৃ. ৪)