পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobr বঙ্গ-গৌরব 8 Garcis Cafe : 295 -ès ris &Gi: “Macaulay's essays on Warren Hastings with introduction and notes by H.M. Buller, London, Macmillan, 1907. GF(61st GST ris fat Thomas Bebington Macaulay. ৫ মেকলে-ক্লাইবের জীবনী লেখক ৪ বইটির প্রকৃত নাম Macaulay's Essay on Clive. London, Longman, green, 1903 ৬ বার্কের প্রবন্ধাবলি : এডমন্ড বার্ক (১৭২৯-১৭৯৭) সেযুগের বিখ্যাত প্রাবন্ধিক। তিনি পার্লামেন্টে হুইগ দলের প্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর বিখ্যাত দুটি বক্তৃতা হল “অন আমেরিকান ট্যাক্সেশন” এবং “অন কনসিলিয়েশন উইথ আমেরিকা’। আবার তিনি ওয়ারেন হেস্টিংস এর অন্যায় কাজকে সমর্থন করেননি। তাঁর বক্তৃত ‘ইমপিচমেন্ট অব ওয়ারেন হেস্টিংস,’ (১৭৮৮) সংসদে তীব্র ঝড় তুলেছিল। তীর সমস্ত রচনার মধ্যে বক্তৃতার ঢং পরিস্ফুট। তিনি ছিলেন সুবক্তা, যুক্তিবাদী ও উদারপন্থী। তার বক্তৃতা ছিল বুদ্ধিও শাণিত যুক্তির ক্ষুরধারে প্রতিফলিত অবশ্য তঁর দার্শনিক প্ৰবন্ধগুলি ছিল অন্য জাতের। ৭. রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র (১৫.২.১৮২৪-২৬.৭.১৮৯১) : উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারততত্ত্ববিদ, চিন্তাশীল ও বহুদশী ব্যক্তিত্ব। ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই বহু গ্রন্থের লেখক। বাংলা রচনার মধ্যে ‘প্রাকৃত ভূগোল” (১৮৫৪), ‘শিল্পিক দর্শন’ (১৮৬০), ‘শিবাজীর চরিত্র” (১৮৬০) মেবারের রাজেতিবৃত্ত (১৮৬১) প্রভৃতি প্ৰধান v3 &CséC5 indo Aryans (Stry), The Antiquities of Orissa (Stras, ১৮৮০) বিখ্যাত। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার লেখক ছিলেন ও ‘বিবিধাৰ্থ সংগ্ৰহ' নামে একটি মাসিক পত্র সম্পাদনা করতেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘ডক্টর অব ল” সম্মানে ठूठि काटइन्। ৮ এশিয়াটিক সোসাইটি : ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটি স্থাপিত হয়। এর স্থাপয়িতা পাশ্চাত্যবিদ্যাসহ সংস্কৃতে, আরবি ও ফরাসিতে সুপণ্ডিত, তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি উইলিয়াম জোন্স। এটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়। ‘এশিয়া খণ্ডের মানুষ ও প্রকৃতি সংক্রাস্ত” যাবতীয় বিষয় অর্থাৎ ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, শিল্পকলা সাহিত্য ও বিবিধ বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও গবেষণা’, ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে সাধারণের নিকট ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল’ নামে পরিচিত হয় ও পরে এর নামের আগে রয়্যাল কথাটি যুক্ত হয়। সোসাইটির বিপুল পুস্তক ও পুথি সংগ্ৰহ আছে, আছে। পুরাতত্ত্ব ও বিজ্ঞান বিভাগের নানা নিদর্শ (Exhibit)। ভারতের প্রাচীন মুদ্রা, মূর্তি, চিত্র, অনুশাসন, বিভিন্ন অক্ষরের খোদিত লিপি, মুদ্রার উপর রাজরাজড়ার পরিচয় কাহিনি প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটির মুখপত্র ‘জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল” এখনও নিয়মিত প্ৰকাশিত হচ্ছে। ৯. স্যাডলার কমিশন ; লর্ড কার্জনের বিশ্ববিদ্যালয় আইন গৃহীত হবার দশ বছর যেতে না যেতেই ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কার্জনের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে পরিচালনার দিক থেকে বেশ কিছু উন্নতি দেখা দিলেও শিক্ষশধর্ম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার সাফল্যজনক প্রচেষ্টা তখনও শুরু হয়নি। তাই ভারত