বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য RAE ৮. মহেশচন্দ্ৰ ন্যায়রত্ন, মহামহোপাধ্যায় (২২,.২.১৮৩৬-১৯৩৬) ঃ প্ৰথমে মেদিনীপুর জেলার রায়গঞ্জে প্রসিদ্ধ বৈয়াকরণ ঠাকুরদাস চূড়ামণির নিকট ব্যাকরণ ও বিভিন্ন অধ্যাপকের কাছে কাব্য, স্মৃতি, বেদান্ত ও অলংকার শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করে কাশী যাত্ৰা করেন। পরে কলকাতায় জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের নিকট ন্যায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করে “ন্যায়রত্ন’ উপাধি পান। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হন ও ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সংস্কৃত আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষার প্রবর্তক। ৯. রায়বাহাদুর কান্তিচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায় (১৮৩৫-১৯০১) ঃ জন্ম ২৪-পরগনায় রাহুত গ্রামে। হুগলি জেলা স্কুল শিক্ষকতা করার পর জয়পুর রাজের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। বিদ্যালয়টি কলেজে পরিণত হলে তিনিই তার অধ্যক্ষ হন। ক্রমে রাজদরবারে অন্যতম মন্ত্রী ও রাজার মৃত্যুর সময় জ্যেষ্ঠপুত্ৰ নাবালক থাকায় তিনিই মন্ত্রীসভার প্রধান হিসেবে কাজ করতে থাকেন। রাজপুত্র সাবালক হলে রাজা তঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ দান করেন। ১০. স্যার আলফ্রেড ক্রফট ঃ ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এর নাম জড়িত। কেশবচন্দ্র সেনের অন্যতম অনুগামী প্ৰতাপচন্দ্র মজুমদার ছাত্রদের নৈতিক চরিত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনে উদ্যোগী হন। সে সময় সরকারের শিক্ষা অধিকর্তা আলফ্রেড ক্রফট এ ব্যাপারে আগ্রহ প্ৰকাশ করেন ও এজন্য কয়েকটি কমিটিও গঠিত হয়। ১১. “বঙ্গীয় গভর্নমেন্ট লাইব্রেরির কর্মপ্ৰাপ্তি ঃ এ কাজটি শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ স্যার আলফ্রেড ক্রফটের সাহায্যে পাননি। এই সময় ক্রফট সাহেব ছুটিতে ছিলেন। তীর সেই পদে তখন ছিল চন্দ্রনাথের শিক্ষাগুরু সি. এইচ, টনী সাহেব । তিনিই চন্দ্রনাথকে বেঙ্গল লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানের পদে নিযুক্ত করলেন। পদটির সম্পূর্ণ নাম ছিল, “Librarian of Bengal Library and keeper of the catalogue of books under section 18, Act XXV of 1867. Sifris (Vor Soo Grist (QG3s sco Gre bear ১৮৭৯-এর ৭ অক্টোবর পদটি গ্রহণ করেন। এই পদে তিনি ৭ বছরেরও বেশি ছিলেন। ১২. রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় (৩১.১০.১৮৪৫-১০.১০.১৮৮৬) ঃ কৃষ্ণনগর ও প্রেসিডেন্সি কলেজের কৃতী ছাত্র। দর্শনশাস্ত্রে এম.এ. ও পরে বি.এল. পাশ করে আইন ব্যবসায়ে লিপ্ত হন। পরে প্রেসিডেন্সি, কটক ল কলেজ, বহরমপুর কলেজে অধ্যাপনা করার পর গভর্নমেন্টের বাংলা অনুবাদকের কাজে নিযুক্ত হন। ১৮৬৯-৮৬ পর্যন্ত তিনি এই পদে এই কাজ করেন। বহুভাষা জানতেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বঙ্গদর্শন’-এ বহু গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৩. আচাৰ্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচাৰ্য (১৮৪৩-১৩.৮.১৯৩২) ও পিতা বিখ্যাত রামজয় তর্কালঙ্কার। প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ও পরে বি.এল. পাশ করে ১৮৮৪-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের “ঠাকুর আইন অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে ১৮৯১-তে রিপন কলেজের অধ্যক্ষ হন ও ১৯০৩-এ অবসর গ্রহণ করেন। কেঁৎ-এর দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন।