বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8o বঙ্গ-গৌরব বুদ্ধির উজ্জ্বলতা একই শ্রেণির। উভয়ের পাণ্ডিত্যের সঙ্গে ছিল পারদর্শিতা,-যে কোনো বিষয়ই তাদের আলোচ্য ছিল, তার জটিল গ্রন্থিগুলি অনায়াসেই মোচন করে দিতেন। জ্ঞানের গভীর ব্যাপকতার সঙ্গে বিচারশক্তির স্বাভাবিক তীক্ষ্ণতার যোগে এটা সম্ভবপর হয়েছে। তঁদের বিদ্যায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাধন-প্ৰণালী সম্মিলিত হয়ে উৎকর্ষ লাভ করেছিল।”-“হরপ্রসাদ শাস্ত্রী’ ‘হরপ্রসাদ সংবৰ্দ্ধন লেখমালা”-দ্বিতীয়ভাগ (১৩৩৯) ২০. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্য, সহকারী সভাপতি ও সভাপতি : ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মার্চ (২ চৈত্র ১৩০৩) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সহকারী সভাপতি : ১৩০৪-১৩০৯, ১৩১৮-১৩১৯, ১৩২৩-১৩২৬, ১৩৩১, ১৩৩৭-১৩৩৮/ অর্থাৎ ১৪ বছর নয় ১৫ বছর সভাপতি : তিনি তেরো বৎসর পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৩২০-২২, ১৩২৬ VOo, y \OMEN-NOV ২১. বিচারপতি সারদাচরণ মিত্র (১৭.১২.১৮৪৮-১৯১৭) : প্ৰসিদ্ধ আইনজীবী, গ্রন্থকার, বিদ্যানুরাগী ও ভারততত্ত্বে সুপণ্ডিত। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে ওকালতি পাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় শুরু করেন। ১৯০২-০৩ প্ৰথমে অস্থায়ী বিচারপতি ও পরে ১৯০৪-এ গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অবসর গ্রহণ করলে তিনি ঐ পদে স্থায়ী হন। পরে ১৯০৮-এ বিচারপতির পদ ত্যাগ করে স্বাধীনভাবে বিদ্যাচর্চায় মন দেন। বিদ্যাপতির’ ‘সটীক সংস্করণ’, ‘উৎকলে শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য’। ‘ভারতরত্নমালা’ তীর বিদ্যানুরাগের পরিচয়বাহী। তিনি কলকাতায় আৰ্য বিদ্যালয় বা সারদাচরণ এরিয়ান ইনস্টিটিউসন প্ৰতিষ্ঠা করেন। ১৮৯০-এ মহেশচন্দ্ৰ ন্যায়রত্নকে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা প্রকাশে সাহায্য করেন। হরপ্রসাদের সঙ্গে তিনি বুদ্ধগয়ার মন্দিরের বিবরণ সংগ্রহ করেন। ২২. চারবার নেপাল গমন : ১ম বার ১৮৭৯ এর মে মাসে, দ্বিতীয়বাব ১৮৯৮ এর ডিসেম্বর, তৃতীয়বার ১৯০৭-এ এবং চতুর্থ ও শেষবার ১৯২২-এ। ২৩. বিলাতে রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির বিশিষ্ট সদস্য ১৯১২ : এটি ১৯১২ না হয়ে ১৯২১ হবে। এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৩২৯/১৯২২-এ তাকে সংবর্ধনা (न् । ২৪. বঙ্গদর্শনে ‘বাল্মীকির জয়’ প্ৰকাশ : বঙ্গদর্শনের’’ সপ্তম বর্ষের ৯ম সংখ্যা অর্থাৎ ১২৮৭ এর পৌঁষে অর্থাৎ ১৮৮০-এর ডিসেম্বর-এ হরপ্রসাদের ‘বাল্মীকির জয়’ প্ৰবন্ধের প্রথম কিস্তির প্রকাশ ঘটে। মাঘ সংখ্যায় ২য় ও ৩য় খণ্ড, চৈত্র সংখ্যায় চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হয়। পরে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ লাভ করে। এই প্রকাশের পর স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্ৰ বঙ্গদর্শন- এর ১২৮৮ এর আশ্বিন সংখ্যায় নিজেই বইটির সমালোচনা করেন। ২৫. হরপ্রসাদের ‘কাঞ্চনমালার প্রকাশ বঙ্গদর্শনে : “বঙ্গদর্শন’-এর নবম বর্ষের তৃতীয় সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১২৮৯ এর আষাঢ় অর্থাৎ ১৮৮২ এর জুন মাসে এই সংখ্যায় হরপ্রসাদের কাঞ্চনমালা (১ম খণ্ড-এক-২য় পরিচ্ছেদ), শ্রাবণ সংখ্যায় দ্বিতীয় খণ্ডের