পাতা:বঙ্গ গৌরভ - জলধর সেন.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য Տ8Գ এবং ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইলবার্ট বিল পাশ হলে ভারতীয় বিচারকরা ইউরোপীয়দের বিচার করার ক্ষমতা লাভ করেন। তিনি কিছুদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সরকারি কাজ থেকে অবসর গ্রহণের পর বরোদারাজের সেক্রেটারি হিসেবে কয়েক বছর কাজ করেন। ২ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১.৬, ১৮৪২-৯.১. ১৯২৩) ঃ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পুত্র ও রবীন্দ্রনাথের অগ্ৰজ। ভারতের প্রথম সিভিলিয়ান। হিন্দুস্কুল থেকে এনট্রাস পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। ১৮৫৯ এ জ্ঞানদােনন্দিনী দেবীর সঙ্গে বিবাহ হয়। ১৮৬২র ২৩ মার্চ লন্ডনে যান ও ১৮৬৪ তে আই. সি. এস. হয়ে দেশে ফেরেন। ১২৭৩ বঙ্গাব্দে চৈত্র সংক্রাস্তির দিন (১২.৪, ১৮৬৭) দেশের মানুষকে দেশাত্মবোধে জাগিয়ে তোলার জন্য কলকাতায় বেলগাছিয়ায় হিন্দুমেলা’র প্রবর্তন করেন। এই মেলার দ্বিতীয় অধিবেশনে মিলে সবে ভারত সস্তান” গানটি তিনি রচনা করেন। ১৩০৭, ১৩০৮এ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ও তিনি বেশ কয়েকটি ইংরেজি ও বাংলা গ্ৰন্থ রচনা করেছিলেন। ৩। লর্ড রিপন ঃ ইনি ১৮৮০-৮৪ পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন। তিনি ছিলেন উদার মতাবলম্বী ও ভারতে শাসন প্রক্রিয়ায় ভারতীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ ব্যাপারে পক্ষপাতী ছিলেন। তার শাসনকালে স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ভারতীয়দের ওপর ন্যস্ত হয়। লর্ড লিটন যে দেশীয় সংবাদপত্রগুলির স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করেন, লর্ড রিপন তা তুলে দেন। প্ৰাথমিক ও উচ্চশিক্ষা বিস্তারের সংস্কারের ক্ষেত্রে তিনি হান্টার কমিশন গঠন করেন ও তার সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক সেই মতো ঢেলে সাজানো হয়। শেষে ইলবার্ট বিল নিয়ে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে প্রবল আন্দোলন শুরু হওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে তার কার্যকাল শেষের আগেই ভারত ছেড়ে চলে যান। ৪. ইলবার্ট বিল ও বিচার ব্যবস্থায় এদেশীয় ইংরেজরা যা সুযোগসুবিধা ভোগ করতেন, তা দূর করার জন্য লর্ড রিপন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ভারতীয় বিচারকরাও যাতে শ্বেতাঙ্গদের অপরাধের বিচার করতে পারেন-সেজন্য তিনি ইলবার্ট বিলের প্রস্তাব দেন। এই বিল নিয়ে ইংল্যান্ডে ও এদেশে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে প্রবল আপত্তি ওঠে। শেষে বিলটি পরিত্যক্ত হয়। এতে ক্ষুব্ধ রিপন তীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবার আগেই স্বদেশে यित शान। ৫ লালবিহারী দে (১৮:১২, ১৮২৪-২৮.১০.১৮৯৪) ৫ বর্ধমানের তালপুকুরে জন্ম। অত্যন্ত দারিদ্র্যের মধ্যে বাল্য ও কৈশোর কাটে। ১৮৪৩ খিস্টাব্দে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। বাংলার সাংস্কৃতিক জীবনে তীর প্রভাব প্রবল। 'Folk tales of Bengal' (sviso) qR Govinda Samanta” (stras) é3 221 forfó 2oft রূপকথার সংকলন ও দ্বিতীয়টি গ্রামবাংলার দৈনন্দিন জীবনের এক সুন্দর আলেখ্য। অরুণোদয়’ (১৮৫৮) নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। চন্দ্ৰমুখীর উপাখ্যান' নামে একটি দীর্ঘ উপাখ্যানও প্রকাশ করেন।