ՏԳ br বঙ্গ-গেীবােব (জলন্ধর সেন লিখেছেন ১৯২৯) ১৯৩৪-এ নাইটহুড প্ৰাপ্তি ১৯৩৬-এ ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি (ইন্দেরে অনুষ্ঠিত) (প্ৰথম ভারতীয় চিকিৎসক সভাপতি) এ ছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টস পদক স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের “মিন্টো পদক’ লাভ করেন। মৃত্যু ৪ ১৯৪৬ এর ৬ ফেব্রুয়ারি ৭১ বছর বয়সে। মেঘনাদ সাহা। ১. জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ ৪ বিশিষ্ট রসায়নবিদ (৪.৯.১৮৯৪-২১.১.১৯৫৯) । আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের ছাত্র। ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি (১৯৩৯), ইণ্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটির অন্যতম প্ৰতিষ্ঠাতা ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (১৯৫৪) হয়েছিলেন। ১৯৪৩-এ নাইট উপাধি পান এবং ১৯৫৪-এ পদ্মভূষণ উপাধি দ্বারা সম্মানিত হন। ২. প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ মিত্র ঃ বিংশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে রসায়নে গবেষণা করেছেন প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ মিত্র। ইনি প্রথমে প্রেসিডেন্সি হাসপাতালে রোনাল্ড রসের কাছে শিক্ষানবীশ ছিলেন, কিছুটা সময় দেরাদুন থেকে ঘুরে এসে তিনি বেঙ্গল টেকনিক্যাল স্কুলে যোগ দেন। এরপর তিনি নিজব্যয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বার্লিন যান এবং কার্ল লিবারম্যানের সহযোগিতায় ফ্রিডেল ক্রাফট বিক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট লাভ করেছিলেন। নানা ধরনের জৈব বিক্রিয়া ঘটিয়ে তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। ইউরোপে দীর্ঘকাল থাকার কারণে তিনি জার্মান, ফরাসি ও ইটালি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে (১৯৪৮ এর ২৫ জানুয়ারি) বিজ্ঞান পরিষদের মুখপত্র ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান” প্রথম প্রকাশিত হয়। এই ১ম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ মিত্র ও তিনি একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন। ৩. জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ঃ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজের পরীক্ষাগারে ভৌত রসায়নের গবেষণা শুরু হয়। এবং তঁরই কয়েকজন ছাত্র এখানে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। এঁদের মধ্যে নীলরতন ধর, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন নিয়োগী প্ৰমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯১৫-এ রসায়ন বিজ্ঞান স্থাপিত হলে আচার্য রায় পালিত অধ্যাপক পদে (১৯১৬) নিযুক্ত হন। জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঘোষ ও জ্ঞানেন্দ্ৰনাথ মুখোপাধ্যায় উঠাব সহকারী রূপে যোগ দেন। ৪. ফণীভূষণ ঘোষ ঃ আসল নাম ফণীন্দ্রনাথ ঘোষ। কলিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত
