*t斗外传忙g 8 আমরা চা পান করে বনভ্ৰমণে বেরিয়ে পড়লাম । চা খেতে একটু বেলা হোল ; এখানে জঙ্গলে কোথায় দুধ মিলবে ; দশমাইল দূরবর্তী সেই কুইরী গ্ৰাম থেকে বনবিভাগের লোকে সাইকেল যোগে দুধ নিয়ে এল। ঘুরে ঘুরে পাহাড়ী পথ-খানিকদূর নেমে এসে রাস্তায় উঠলাম আমরা চার পাঁচজন লোক ; দু’জন বনবিভাগের উচ্চ কৰ্ম্মচারী, দু’জন ফরেষ্ট গার্ড, আমার স্ত্রী ছিলেন সঙ্গে, আরও কয়েকটি লোক । রাস্তার পাশের একটা সরু পায়ে চলার পথ নিস্তব্ধ, ঈষৎ অন্ধকার, ঘন বনের মধ্যে প্ৰবেশ করেচে। একটা সংকীর্ণ পাহাড়ী নালা বনের মধ্যে কুল কুল করে বয়ে চলেছে। এই নালার হো নাম হচ্চে পোগা মারো গাঢ়া, বনের মধ্যে ঢুকেই মনে হোলো এতক্ষণ অরণ্যানীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করিনি, যা দেখছিলাম তা বাইরে থেকে । এ যেন একটা ভিন্ন জগৎ-সুউচ্চ সোজা, খাড়া শাল, কেঁদ, বারম প্ৰভৃতি বনস্পতি শ্রেণীর ঘন সন্নিবেশ দিনের আলোক আটকেচে । সারাদিনের মধ্যে এখানে সূৰ্য্যের আলো প্ৰবেশ করে কিনা সন্দেহ, সুতরাং বনভূমি ঈষৎ আদ্র, একটু বেশি শীতল, কাছে কাছে কত সুদৰ্শন অকিড়, নিয়ে আগাছার জঙ্গলও বেশ ঘন । একজায়গায় ছোট-এলাচের গাছ হয়েচে, মিঃ সিংহ দেখালেন খুব বড় হলুদ গাছের মত পাতায় ছোট-এলাচের গন্ধ। এদিক ওদিক থেকে ক্ষীণ জলধারা আমাদের পথের ওপর দিয়ে গড়িয়ে চলেচে, তার ওপর প্রস্তর-সন্ধুল পথ, সুতরাং আমাদের যেতে হচ্ছিল খুব সন্তপণে । একটা মাঝারি গোছের গাছ দেখে ওঁরা বিজয়ের হাস্তে বলে উঠলেন- এই ! এই হোল মাইকেলিয়া চম্পক, চম্পক ফুলের *ोiछ । আমি বল্লাম-এ চম্পক গাছ হতে পারে, স্বর্ণচাঁপা নয়। -আমরা অন্য চাপাগাছ চিনি নেন- এগাছে চম্পক ফুল হয়।