পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনে-পাহাড়ে tee একটু পরে ছেলেটি আবার ফিরে এসে বল্পে-মা বল্পে কাঠ না। পেলে চা হবে না । আমি সংক্ষেপে বল্লাম-খুব লজিক্যাল কথা ! সুবোধ চটে উঠে বল্লে-তবে ব্যবস্থা করুন। —সবাই মিলে কাঠ কুডুতে যাই চলুন। মিঃ সিংহ বল্পেনা-খুব ন্যায্য কথা ! সুবোধ নিরুপায় হয়ে বল্পে-ড্রাইভারকে ডেকে বলে দিই কাঠ আনতে । श्रांभेि दकिं-श्रङ,व ७कांना थंफु । চমৎকার নিক'পিক ঘটে গেল। জয়ন্তগড়ের ডাকবাংলোর সামনের মাঠে বৈতরণীর তীরে। প্রচুর জলখাবার তার সঙ্গে গরম চা। শীত পড়েছিল, আমরা বেলা সারে চারটের সময় মোটরে উঠলুম আবার । বেশি দেরি করা উচিত হবে না। মাইল সাতেক গিয়ে একটা চীনে মাটির খনি। ধনী মালিকের প্রাসাদোপম বাসগৃহ, কারখানা ও আপিসঘরের হাতায় । আমরা গিয়েছি শুনে ম্যানেজার নিজে এসে কারখানা দেখতে নিয়ে গেলেন । সেখান থেকে পরীক্ষাগারে নিয়ে গেলেন। এই মাটি দিয়ে চায়ের ডিস পেয়ালা তৈরির পরীক্ষা চলছে ርቫቅቨርማ ! আমি বল্লাম--মালিক কোথায় থাকেন ? -ওঁর দেশ গোয়ালিয়র, তবে চাইবাসাতে বাড়ী আছে। -ভাল কাজ চলছে ? --কাজ দশগুণ বেড়ে গিয়েছে। যুদ্ধের দরুন। গভর্ণমেণ্ট থেকে বহু চায়ের ডিস পেয়ালার অর্ডার পেয়েছি। -ডিস পেয়ালা হচ্ছে ভালো ? -পরীক্ষা চলছে, এখন যা হচ্ছে তা ভেঙ্গে যায় সহজে । -এ মাটিতে টেকসই হবে ? --নিশ্চয়ই। মাস দুইয়ের মধ্যে আমরা গভর্ণমেণ্টের অর্ডারে হাত দিতে পারবো ।