বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বনে পাহাড়ে - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बन-१ांशg Na তিনি তত বৰ্ণনা দিতে পারেন নি, মোটামুটি বলেছিলেন, “ভালো’। কিন্তু শুধু ‘ভালো' বা ‘চমৎকার’ শুনে আমার মন তৃপ্ত হয়নি, আমি চেয়েছিলাম যা, তিনি তা আমায় দিতে পারেন নি । সে আজ অন্ততঃ সতেরো আঠারো বছর আগের কথা। তখন জানতাম না, একদিন শরৎকালের শেষ রাত্রের জ্যোৎস্নায় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মোটরে সেই অরণ্য পৰ্ব্বতের পথে প্ৰমোদ ভ্ৰমণ আমার অদৃষ্ট ঘটবে। সেই ভদ্রলোকের কথা মনে পড়লো এতদিন পরে। তিনিই প্ৰথমে এ রাস্তার সৌন্দৰ্য্যের কথা আমায় বলেন, এ পথ সম্বন্ধে আমার কৌতুহল জাগিয়ে তোলেন। যতদূর জানি, তিনি এখন আর ইহলোকে নেই, শেষ বয়সে বিদেশে কোথায় কণ্টাক্টারি করতেন, সেখানে মারা যান। তিনি কিছুমাত্র বাড়িয়ে বলেননি দেখলুম। পথ ঘুরে ঘুরে যখন উঠতে লাগলো টেবো পাহাড়ে, তখন মনে হোলো, এ পথে সবারই একবার বেড়িয়ে যাওয়া উচিত। অপূর্ব দৃশ্য। পথের দুধারে বড় বড় গাছপালা, বড় বড় পাথর, মায়াময় শিখরদেশ জ্যোৎস্নামাখা, বনের আড়ালে লুকোচুরি খেলচে। প্ৰকৃতিরসিক পরেশবাবু দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেই বল্লেন-চমৎকার! আমরা সকলেই এক বাক্যে র্তার কথায় সায় দিলাম। পাহাড়ের ওপরে রাস্তার দু’ধারে জ্যোৎস্নালোকিত বনভূমির কি অপূর্ব শোভা। কেঁদ গাছের কালো কালো পাতায় জ্যোৎস্না পড়ে চকচক করচে। ঘন, নির্জন বনানীর নৈশ নিস্তব্ধতা মনে ভয় মিশ্রিত রহস্যের উদ্রেক করে। আমি বল্লাম-এখানে মোটর থামিয়ে একটু বনটা দেখা যাকসুবোধ আপত্তি করলো-এখানে বাঘেয় ভয়, বিশেষ করে এই রাতের বেলায়। মোটর থামিয়ে নামা উচিত হবে না । মিঃ সিনহা বল্লেন--কিছু হবে না। নামা যাক । পরেশবাবুও আমাদের মতেই মত দিলেন। সুতরাং শেষ পৰ্যন্ত মোটর থামানো হোল-আমি, পরেশবাবু ও মিঃ সিনহা নেমে রাস্তার