বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 बांश्लेन बशंभुं + হইয়াছে। এই স্বান হইতে একটি রাস্তা পশ্চিমদিকে মধুর ও ভাস্কবিহার প্রভৃতি গ্রাম পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। সুবিখ্যাত “ রামচরিত’ কাব্য-রচিয়তা কৰি সন্ধ্যাকর নন্দী মহাস্থানের অধিবাসী ছিলেন। কয়েক বৎসর পূবেৰ পালরাজবংশের কর্মচারী নদীদিগের একখানি প্রাচীৰ শিলালেখের ভগ্নাংশ মহাস্থানের নিকটে আবিষ্কৃত হইয়াছিল। ইহাতে দশম বা একাদশ খৃষ্টাঙ্গের লেখা দৃষ্ট হয়। মহাস্থানের নিকটবর্তী ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে গুপ্তযুগের বলিয়া কথিত কতকগুলি মুদ্রা পাওয়া গিয়াছিল। এান হইতে ৪ মাইল পশ্চিনে ৰহা নামে গ্রাম ও পাশেই আনােয় বারবা ভাবিহার গ্রামে পুরাতন বৌদ্ধ বিহারের ধংসাবশেষ অবস্থিত ৮ সপ্তম শতাব্দীতে য়ুয়ান চোয়াং যখন পুণড়বন্ধনে আগমন করেন, তখন এই স্থানে তিনি একটি গগনস্পশী চূড়াসমন্বিত বৌদ্ধবিহার দেখিয়াছিলেন। তিনি ইহাকে পো-শি-পে বলিয়া ৰণনা করিয়াছেন। এই সঙ্ঘারামে মহাযান সম্প্রদায়ের ৭০০ ভিক্ষু ও বহু বিখ্যাত শ্রমণ অবস্থান করিতেন। সঙঘারামের নিকটে মহারাজ অশোক নিৰ্ম্মিত একটি স্তুপ তিনি দেখিয়াছিলেন ; স্তুপের স্থানটিতে পূর্বকালে ভগবান তথাগত তিন মাস ধরিয়া, ধৰ্ম্ম ব্যাখ্যান করিয়াছিলেন। ইহার অনতিদূরে অবলোকিতেশ্বরের মন্দিরে দূরদূরাস্তর হইতে যাত্ৰী আসিয়া প্রার্থনা করিত। কানিংহাম সাহেব ভাস্কবিহার গ্রামের ৭০০ ফুট দীর্বে ও ৬০০ ফুট প্রস্থে ভগ্নাবশেষটি য়ুয়ান চোয়াং ৰণিত সঙধারাম বলিয়া নির্ণয় করেন এবং ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত এখনও প্রায় ৩০ ফুট উচচ স্তুপটিকে অশোক নিৰ্ম্মিত ৰূপ এবং ইহার উত্তরে মন্দিরের ভগ্নাবশেষকে অবলোকিতেশ্বরের মন্দির বলিয়া অনুমান করেন। তৎকালে ভাসুবিহার বৌদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল এবং এই স্থানের খ্যাতি সমগ্র ভারতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিল। ভালোয় বিহার গ্রামে “সুসঙ্গ দীঘি ” নামে একটি প্রাচীন দীঘিকা আছে। প্রবাদ, ইহা সুসঙ্গ নামক রাজার দ্বারা খনিত । এই সুসঙ্গ রাজা কে ছিলেন তাহা জানা যায় নাই। মহারাজ বল্লাল সেনের গুরু অনিরুদ্ধ ভট্ট বিহার গ্রামবাসী ছিলেন। তাহার হারলতা নামক সমৃতি সংগ্রহ এখনও প্রচলিত আছে । . মহাস্থানের অতি নিকটে দক্ষিণ দিকে গোকুল নামক গ্রাম অবস্থিত। এখানেও একটি প্রকাও ধংস স্তুপ আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা “গোকুলের মেঢ় ” নামে পরিচিত। এই স্তুপটি চতুবিৰ্বংশতি কোণ বিশিষ্ট ও মৃত্তিক হইতে ইহার ভিত্তির উচচতা প্রায় এক ফুট। এই স্থান খনন করিয়া প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রায় ১৭০টি কক্ষ আবিষ্কার করিয়াছেন। পরস্পরের গাত্র-সংলগ্ন এই কক্ষগুলিকে মৌমাছির চাকের খোপের মত দেখায়। স্তুপের দক্ষিণ-পূবৰ কোণে ৪২ ফুট বিস্তৃত ও প্রায় ২৫ ফুট উচচ সোপান শ্রেণী বাহির হইয়াছে। এই স্তুপটিও একটি বৌদ্ধ দেবায়তন ছিল বলিয়া অনুমিত হয়। ইহার প্রাচীর গাত্রে টালির উপর মানুষ, জীবজন্ত, লতাপাত প্রভৃতির চিত্র উৎকীর্ণ অাছে। ইহার শিল্প পদ্ধতি দেখিয়া প্রত্নতাত্বিকগণ অনুমান করেন যে আনুমানিক মন্ত অথবা সপ্তম শতাব্দীতে গুপ্তযুগে এই মন্দিরটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই গ্রামে এখনও বহু সংখ্যক গোপের বাস আছে। নেতা খোপানীর পাট নামে একটি স্কুপও এখানে দৃষ্ট হয়। মহাস্থান হইতে প্রায় ৫ মাইল উত্তরে অবস্থিত চাদনীয়া বা চাদমুয়া একটি পুরাতন স্থান। প্রায় তিন শত বৎসর পূৰেৰও এই স্থান উত্তর-বঙ্গের একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। অনেকে অনুমান করেন যে এই স্থানের প্রাচীন নাম চম্পানগর এবং মনসার ভাগান গানের নায়ক চাঁদ সদাগর