পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAの ९जाँग्न खत्रश्नं استشعد নোয়াখালি শহর লাকসাম হইতে ৩১ মাইল দূর। ইহার অপর নাম সুধারাম। প্রসিদ্ধি আছে যে ইহা সুধারাম মজুমদার নামক জনৈক জমিদার কর্তৃক স্থাপিত। । নোয়াখালি শহর মেঘনা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। সম্প্রতি মেঘনা নদীর প্রবল ভাঙ্গনের স্থানান্তরিত হইয়াছে। নোয়াখালির প্রাচীন নাম ভুলুয়া । এই স্থানের প্রথম রাজা বিশ্বম্ভর শূর মিথিলা হইতে আগত। কথিত আছে ১২০২ খৃষ্টাব্দে তিনি ভুলুয়া রাজ্য স্থাপিত করেন। বিশ্বম্ভর হইতে ৭ম পুরুষ অধস্তন লক্ষ্মণমাণিক্যের বীরত্বের বিশেষ খ্যাতি আছে। তাহার যুদ্ধকালীন বর্ষের ওজন নাকি এক মণ ছিল। তিনি মুকবি ও পণ্ডিত ছিলেন। তাহার “ বিখ্যাত-বিজয়’ মধ্যযুগের একখানি প্রসিদ্ধ সংস্কৃত নাটক। এই বংশের একটি বিশাল কামান বাবুপুর গ্রামে আজও দৃষ্ট হয়। ফেণী—লাকসাম জংশন হইতে চট্টগ্রামের পথে ২৫ মাইল দূরে অবস্থিত। ইহা নোয়াখালি জেলার মহকুমা। এখানে একটি কলেজ আছে। এখান হইতে আসাম বাংলা রেলপথের এক শাখা ১৭ মাইল দূরবর্তী বিলোনিয়া পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। বিলোনিয়া ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম মহকুমা । কুণ্ডের হাট—লাকৃসাম হইতে ৪৮ মাইল। স্টেশন হইতে পাৰবত্যপথে দেড় মাইল দূরে চম্পকেশ্বর নামে বিরাট শিবলিঙ্গ অবস্থিত। বারৈয়াঢালা—লাকৃসাম হইতে ৫৪ মাইল দূরে সীতাকুণ্ডের অব্যবহিত পূবেৰ্ব এই স্টেশন অবস্থিত। এখানে নামিয়া প্রায় দুই মাইল পূবর্বদিকে লবণাক্ষতীথে যাইতে হয়। লবণাক্ষ একটি ছোট কুণ্ড । ইহার আয়তন ৪ × ৪ ×৩ হাত। ইহার জল লবণাক্ত ও ঈষৎ উষ্ণ। লবণাক্ষ কুণ্ডের নিকটেই উত্তর-পশ্চিম কোণে বিস্তৃত পবর্বত গাত্রে অগ্নিশিখা দিনরাত্ৰ জলিতেছে। ইহা গুৰুধুনী নামে পরিচিত। লবণাক্ষ হইতে প্রায় এক মাইল দূরে পবর্বতের উপর সহস্রধারা নামক ৩০০ ফুট উচচ একটি মনোহর জলপ্রপাত আছে। ইহাও একটি পুণ্যতীর্থ। যাত্ৰিগণ প্রপাতের নীচে দাড়াইয়া স্নান করিয়া থাকেন এবং অনেকে জলের বেগ বৃদ্ধি পাইবে এই বিশ্বাসে উলুধ্বনি বা শিবনাম উচচারণ করেন। লবণাক্ষ কুণ্ড হইতে সহস্রধারার পথে সূৰ্য্যকুণ্ড ও ব্রহ্মকুণ্ড নামে আরও দুইটি কুণ্ড আছে। সীতাকুগু—লাকসাম ও চট্টগ্রাম জংশন হইতে যথাক্রমে ৫৮ ও ২৩ মাইল দূর। স্টেশন হইতে এক মাইল দূরে সুবিখ্যাত শৈব মহাপীঠ চন্দ্রনাথ পাহাড়; ইহা উচচতায় ১,১৫৫ ফুট। পাহাড়ের সবের্বাচচ চূড়ায় চন্দ্রনাথ মহাদেবের মন্দির এবং ঠিক পাশের চুড়ায় বিরূপাক্ষ মহাদেবের মন্দির বহুদুর হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। শুধু বাংলার নহে, চন্দ্রনাথ সমগ্র ভারতের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ তীর্থ। শাস্ত্রানুসারে কলিযুগে চন্দ্রশেখরই মহাদেবের আবাসভূমি। “কলেী বসামি চন্দ্রশেখরে। ” পূবেৰ্ব চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠবার রাস্ত বড়ই দুৰ্গম ছিল। কিন্তু বর্তমাণে পবর্বত গাত্রে বহু স্থানে সোপান নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং সেই জন্য চন্দ্রনাথ মহাদেৰ দর্শল সহজ হইয়াছে। পাহাড়ের পাদদেশ বা সমতল ভূমি হইতে শিখর পর্যন্ত প্রায় ৭০০ সোপান আছে।