বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$१२ बॉरजांग्र बमभं দুধ ঝরিয়া স্থানটি ধৌত হইল। রজক বিস্মিত হইয়া ফিরিয়া আসিলেন এবং সেই রাত্রেই স্বপু দেখিলেন যে শিব যেন তাঁহাকে বলিতেছেন, যে প্রস্তরে গাভীর দুধ ঝরিতেছিল উহাতে তিনি অবস্থান করিতেছেন এবং উহার নাম স্বয়ম্ভুনাথ। পরদিন হইতে তিনি স্বয়ম্ভর্নাথের পূজার ব্যবস্থা করেন। কথিত আছে স্বয়ম্ভনাথের মাহাত্ম্যের কথা শুনিয়া ত্রিপুরেশ্বর ইহাকে স্বীয় রাজধানীতে লইয়া যাইবার ইচছায় স্বয়ম্ভুনাথের চারিদিকে খনন করাইয়া বিফল হন ; যতই খনন করা যায় কিছুতেই আর শেষ হয় না। হস্তীর দ্বারা উঠাইবার চেষ্টা করিয়াও কোন ফল হয় নাই। রাত্রিকালে স্বপ্রাদেশ হয়, তিনি যেন স্বয়ম্ভুনাথকে রাজধানীতে লইয়া যাইবার আশা ত্যাগ করেন এবং তাহার পূজার ব্যবস্থা করিয়া দিয়া নিকটস্থ মহামায়া মুক্তিকে লইয়া যান। রাত্রিকালে মহামায়াকে লইয়া যাইয়া যেখানে রাত্রি প্রভাত হয় সেই স্থানেই যেন তাঁহাকে স্থাপন করেন। ত্রিপুরেশ্বর তখন স্বয়ম্ভুনাথের মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া পূজার জন্য বহু সম্পত্তি দান করেন এবং আদ্যাশক্তি মহামায়াকে লইয়া পাবর্বত্য পথে রাজধানীর দিকে যাত্রা করেন। রাজধানী হইতে বহুদূরে যেখানে প্রভাত হইল, সেইখানে দেবীকে স্থাপন করিয়া মন্দির প্রতিষ্ঠা ও পূজার ব্যবস্থা করিলেন। ত্রিপুরা রাজ্যের নামানুসারে মহারাজ দেবীর নাম রাখিলেন ত্রিপুরেশ্বরী বা ত্রিপুরাসুন্দরী এবং এই স্থানে সূৰ্য্য উদয় হওয়ায় জায়গাটির নাম রাখিলেন উদয়পুর। উদয়পুর একটি পীঠস্থান, সতীর দক্ষিণ চরণ এখানে পতিত হইয়াছিল। (কুমিল্লা দ্রষ্টব্য)। স্বয়ম্ভুনাথ মন্দির হইতে চন্দ্রনাথের পথ ধরিয়া দু' তিন শ ফুট যাইয়া বাম দিকে ৮০টি সোপান অবতরণ করিয়া গয়াকুগু বা পদগয়ায় যাইতে হয়। যাহারা পিণ্ডদানাদি না করেন তাহার এখানে না গিয়া অগ্রসর হইতে পারেন। কিছুদূর গিয়া ১৫৭ টি সোপান অতিক্রম করিয়া দুইটি রাস্তার সঙ্গম স্থলে আসিতে হইবে। এখানে দক্ষিণ দিকে একটি ক্ষুদ্র সেতু পার হইয়া সোজা চন্দ্রনাথ শিখরে উঠিবার ৫৪৯ টি লোপান পড়িবে, এই পথটি সমস্তটাই অত্যন্ত খাড়াই এবং পথে উনকোটি শিব, বিরূপাক্ষ প্রভৃতি পড়িবে না। নামিবার পক্ষে এই পথ সুবিধার। সুতরাং এই পথে না উঠিয়া বাম দিকে ৮টি সিড়ি পার হইয়া উত্তর মুখে উনকোটি শিব ও বিরূপাক্ষ হইয়া চন্দ্রনাথ শিখরে পোছাইয়া প্রথমোক্ত পথ দিয়া নামিয়া আসাই বাঞ্ছনীয়। উনকোটি শিবের পথ ধরিয়া কিছু দূর যাইলেই দক্ষিণদিকের পবর্বতটি ঠিক যেন একটি গোলাকার বৃহৎ ছত্রের আকার ধারণ করে, এই জন্য ইহাকে ছত্রশিলা বলে। ছত্রশিলার পরেই রাস্তার বামদিকে একটি বিশাল প্রাচীন বৃক্ষের পাদদেশ প্রকাণ্ড কোটরের আকার ধারণ অরিয়াছে। প্রবাদ পূবৰ্বকালে মহৰ্ষি কপিল এই কোটরে তপস্যা করিতেন এই জন্য ইহা কপিলাশ্রম নামে অভিহিত। কপিলাশ্রম হইতে কিছুদূর যাইলে পথ একটি ছোট পবর্বত গুহায় শেষ হইয়া গিয়াছে। এই গুহার মধ্যে শিবলিঙ্গাকৃতি অসংখ্য প্রস্তরখণ্ড পবর্বতগাত্রে ও গুহার ছাদে সংলগ্ন আছে ; অভ্যস্তর হইতে অবিরত জল নিঃস্থত হইয়া এইগুলিকে ধৌত করিতেছে। ইহাই উনকোটি শিব নামে খ্যাত ] - - - - উনকোটি শিব দেখিয়া কিছুদূর ফিরিয়া আসিয়া বামদিকে বিরূপাক্ষ মহাদেবের মন্দিরের পথ। পথটি দুর্গম, তবে আজকাল পথের নানা স্থানে সিঁড়ি ও রেলিং নিৰ্ম্মিত হওয়ায় পূর্বাপেক্ষা অনেক সুগম হইয়াছে। . * , 数 বিৰুপাক্ষ হইতে চন্দ্রনাথ মহাদেবের মন্দির বেশী দূর নয়, পথও সহজ। পুরাতন শিরে ভগ্নাবশেষ ছাড়াইয়াই বর্তমান মন্দির। সমতলভূমি হইতে পাহাড়ে উঠতে নানা স্থান হইতে এবং