পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏసిO - बांश्लॉग्न अश* অল্পকালের মধ্যে অনেক দান করিয়া গিয়াছেন। হরকৃষ্ণের প্রতিপক্ষ পূর্ববর্তী পদচ্যুত আধিলের প্ররোচনায় গুপ্ত ঘাতকের হাতে তাহার মৃত্যু হয়। তাহার মৃত্যুর পর দিল্লী হইতে নূতন আমিল নিযুক্ত হইতে প্রায় এক বৎসর সময় লাগিয়াছিল। এই এক বৎসর শ্রীহট্টের শাসন কার্য্যে নায়েৰ ফৌজদার সাদেকউল্লা, সেনাধ্যক্ষ হরদয়াল ও দেওয়ান মাণিকচাঁদ একত্র এই তিন জনের উপর ন্যস্ত ছিল। ইহার একযোগে কাৰ্য্য করিতেন, তাঁহাদের যুক্ত শাসনের মোহরে তিন জনের নামের আদ্যাংশ লইয়া “সাদেকুল হরমাণিক ” লিখিত ছিল। এই শহরের যুগলটিলার বৈষ্ণব আখড়া ও দুর্গাবাড়ী বিশেষ বিখ্যাত। পীঠমালা তন্ত্রপাঠে জানা যায় যে সতীদেহের গ্রীব ও বাম জঙথা শ্রীভূমি বা শ্রীহট্টে পতিত হইয়াছিল। শ্রীহট্ট শহর হইতে দেড় মাইল দক্ষিণে গোটাটিকর জৈনপুর নামক পল্লীতে গ্রীবাপীঠ অবস্থিত। এখানে দেবীর নাম মহালক্ষ্মী ও ভৈরব সবর্বানন্দ । শিবরাত্রি ও অশোকাষ্টমীর সময়ে এখানে মেলা হয় | বামজঙঘা মহাপীঠ শ্রীহট্ট শহর হইতে ৩৮ মাইল উত্তর-পূবেৰ্ব প্রাচীন জয়ন্তীয় রাজ্যের অন্তর্গত বাউরভাগ বা ফালজোর নামক গ্রামে একটি পবর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। ইহা সাধারণ্যে ফালজোরের কালীবাড়ী বলিয়া পরিচিত। এখানে দেবীর নাম জয়ন্তী, ভৈরব ক্রমদীশ্বর। প্রস্তরময়ী দেবীর সহিত ভৈরব অবিচিছন্নরূপে অবস্থিত। শ্রীহট হইতে বর্ষাকালে সটীমারে ও অন্যান্য ঋতুতে নৌকায় কানাইর ঘাট পৌছিয়া তথা হইতে পদব্রজে ৫ মাইল পথ গেলে এই মহাপীঠে পৌছানো যায়। ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত এই তীর্থে বহু নরবলি হইয়া গিয়াছে। জয়ন্তীয় রাজ্য ইংরেজের অধীনে আসিলে এই প্রথা বন্ধ হয়। পূবেৰ এই মহাপীঠ অজ্ঞাত অবস্থায় ছিল। সপ্তদশ শতাব্দীতে জয়ন্তীয়ার বড় গোসাইএর রাজত্ব কালে এই মহাপীঠের প্রকাশ হয়। একদা এক দল রাখাল বালক একটি শিলাখণ্ড লইয়৷ পূজা পূজা খেলিতেছিল। একজন পূজারী হইল, একজন ছাগল হইল, একজন ঘাতক ইত্যাদি। পূজাস্তে ছাগরূপী বালককে বলি দিবার সময় খড়গের স্থলে তৃণ দিয়া আঘাত করিলে বালকটি দ্বিখণ্ডিত হইয়া যায়। বালকের ভয়ে পলাইয়া গেল। এই ব্যাপার শুনিয়া জয়ন্তীয় রাজের গুৰু আধ্যাত্ত্বিক প্রমাণ পাইয়া ও শাস্ত্রালোচনার দ্বারা স্থির করেন যে এই শিলাখণ্ডই বামজঙ্ঘা মহাপীঠ বা জয়ন্তী দেবীর প্রতিকৃতি। এখানে সতীর বামজঙবা পতিত হয়। বামজঙঘা হইতে বামউরুভাগ ও তাহ। হইতে বাউরভাগ নাম হইয়াছে। বাউরভাগ হইতে দুই মাইল দূরে একটি পবর্বতের উপর রুপনাথ শিব ও রুপনাথ গুহা অবস্থিত। এই অন্ধকারাবৃত গুহার মধ্যে বহু স্বাভাবিক শিবলিঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে পবর্বতগাত্রে সতত জলবিন্দু সঞ্চিত থাকে। তাহার উপর আলোক সম্পাত হইলেই মনে হয় যেন শত শত নক্ষত্র শোভা পাইতেছে। ইহাকে “ নক্ষত্র মণ্ডল ” বলে। এই গুহার মধ্যে একখানি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ত্রিশূল প্রথিত আছে। উহা মহাকালের ত্রিশূল নামে প্রসিদ্ধ। কথিত আছে যে অসুরগণের ভয়ে ভীত দেবগণ এই গুহার মধ্যে লুকাইয়া থাকিতেন। রুপনাথ গুহার নিকটে “সাত হাত পানি,” “ গুপ্তগঙ্গা ” ও “পাতালগঙ্গা " নামক অপর কয়েকটি তীর্থ আছে। “ সাত হাত পানি " একটি