পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՆ) बां९लांग्न अशषं -न्ट्र-- ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে ভুটিয়ার কোচবিহার রাজ্য আক্রমণ করিলে কোচবিহাররা ওয়ারেনহেষ্টংসের সাহায্য গ্রহণ করেন ; ভুটিয়ার বিতাড়িত হন এবং লাসার লামার মধ্যস্থতায় প্লাস্তি স্থাপিত হয়। অতঃপর ১৭৭৩ খৃষ্টাব্দের ৫ই এপ্রিল তারিখে কোচবিহার রাজ্য ও ঈস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। i কোচবিহার শহর তোরস নদীর তীরে অবস্থিত। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্শিত বলিয়া কোচবিহার শহরটি দেখিতে অতি সুন্দর। তরুবীথিযুক্ত সরল ও প্রশস্ত রাজপথ, রাজপথের পাৰ্শ্বস্ব শ্যামল তৃণাচ্ছাদিত ভূখণ্ড, প্রমোদ-উদ্যান, স্বচ্ছ সলিল পূণ দীঘি-সরোবর ও আম, কঁঠাল, গুবাক প্রভৃতি ৰূক্ষের শ্রেণী শহরটিকে একটি সুন্দর কুঞ্জবনে পরিণত করিয়াছে। বাংলা দেশে এরূপ সুন্দর শহর নাই বলিলেও চলে। এখানকার বহু দ্রষ্টব্য বস্তুর মধ্যে মহারাজার প্রাসাদ, গ্রন্থাগার, রাণীর বাগান নামক উদ্যান, ভিক্টোরিয়া কলেজ নামক প্রথম শ্রেণীর কলেজ-ভবন, মেয়েদের উচচ ইংরেজী বিদ্যালয়, সাগর দীঘি ও মদনমোহনের মন্দির উল্লেখ যোগ্য। মদনমোহনের রাসযাত্রা উপলক্ষে মহা সমারোহ ও নানা স্থান হইতে বহু যাত্রীর সমাগম হয়। এ সময়ে এখানকার প্রসিদ্ধ রাসের পুতুল দেখিতে পাওয়া যায়। রাসযাত্রা মেলায় লোকশিল্পের নিদশন স্বৰূপ কিছু কিছু দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। কোচবিহার শহরে রাজ-অতিথিশালা, হোটেল ও ডাকবাংলা প্রভৃতি থাকায় ভ্রমণকারীর পক্ষে এখানে থাকিবার কোনই অসুবিধা নাই । কোচবিহার হইতে ১১ মাইল পূর্বদিকে রায়ঢাক নদীর কূলে অবস্থিত এই রাজ্যের উপবিভাগ তুফানগঞ্জ অবস্থিত। জলঢাকা নদীর তীরে মাথাভাঙ্গা উপবিভাগটি কোচবিহার হইতে ১৬ মাইল পশ্চিমে এবং বাংলা-দুয়ার রেলপথের পাটগ্রাম স্টেশন হইতে ১২ মাইল পূবর্বদিকে। বাণেশ্বর-পাবর্বতীপুর জংশন হইতে ৮০ মাইল দূর। এই স্থানটি কোচবিহার রাজধানীর উপকন্ঠে অবস্থিত। এখানে বাণেশ্বর নামক এক অতি প্রাচীন শিবের মন্দির আছে। কেহ কেহ বলেন, যে এই স্থান তন্ত্রোক্ত অন্যতম শৈবপীঠ। স্টেশনের অতি নিকটে একটি দীঘির পাড়ে তরুকুঞ্জের মধ্যে মন্দিরটি অবস্থিত। ইহা প্রায় ৫০ ফুট উচ্চ এবং আনুমানিক আড়াইশত বৎসর পূৰেৰ নিস্থিত। ইহা কোচবিহারের মহারাজার সম্পত্তি। শিবরাত্রির সময়ে এখানে খুব বড় মেলা হয়। আলিপুর হুয়ার—পাবৰ্বতীপুর জংশন হইতে ৮৬ মাইল দুর। ইহা জলপাইগুড়ি জেলার একটি মহকুমা। শহরটি কালজানি নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত এবং একটি প্রসিদ্ধ বাণিজ্য কেন্দ্র। কর্ণেল হেদায়েৎ আলি খী নামক একজন বীরপুরুষ ভুটান যুদ্ধে ইংরেজপক্ষে বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তাঁহার নামানুসারে এই স্থানের আলিপুর নাম হইয়াছে। ভুটানগণের নিকট হইতে এই স্থান বিজিত হইবার পর কর্ণেল হেদায়েৎ আলি ইহার প্রথম শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হইয়াছিলেন। আলিপুর দুয়ার হইতে ১০ মাইল উত্তর-পূবেৰ মহাকালগুড়ির চারিদিকে রায়ঢাক ও গদাধর নদীর মধ্যে প্রায় ৭০ বর্গ মাইল ব্যাপিয়া চাচর্চ মিশনারি সোসায়েটির তত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত খৃষ্টান সাঁওতালগণের একটি বসতি আছে; ইহার ১০টি গ্রাম হইতে নিবৰ্বাচিত ১০ জন প্রধান ও ৰঙ্গৰাজকের সভাপতিত্বে একটি মন্ত্রণা-সভা আছে। মহাকালগুড়িতে ডাক বাংলা গির্জা প্রভৃতি আছে এবং তথায় যাইবার জন্য স্টেশন হইতে মোটর বাস চলে। মহাকালগুড়ির পশ্চিম পার্শ্বে একটি পুরাতন গড়ের ধংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। - .