বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so বাংলায় ভ্রমণ সাহিত্যসেবী ও স্বজাতিপ্রেমিক বাঙালীদিগের একটি সম্মেলন হয় । শিক্ষিত বাঙালী মাত্রেরই বাংলার আদি কবি ও অন্যতম প্রধান জনশিক্ষক মহাকবি কৃত্তিবাসের জন্মস্থানকে তীর্থের স্যায় পবিত্রজ্ঞানে শ্রদ্ধার সহিত দর্শন কর। কৰ্ত্তব্য। কৃত্তিবাসের স্মৃতি স্তম্ভের গাত্রে নিম্নলিখিত কথাগুলি লিখিত আছে,— “মহাকবি কৃত্তিবাসের আবির্ভাব ১৪৪০ খৃষ্টাব্দ, মাঘমাস, শ্রীপঞ্চমী, রবিবার হেথা দ্বিজোত্তম আদি কবি বাঙ্গালার ভাষা রামায়ণকার কৃত্তিবাস লভিলা জনম, সুরভিত সুকবিত্বে ফুলিয়ার পুণাতীর্থে হে পাথক, সম্ভমে প্রণম | শ্ৰীযুক্ত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরস্বতী কর্তৃক ভিত্তি স্থাপিত হইল । ২৭শে চৈত্র, ১৩২২ বঙ্গাব্দ ” হরিদাস ঠাকুরের ভজন-গোফ, ফুলিয়া সমাধি স্তম্ভের দক্ষিণদিকে একটি প্রাচীন বটবৃক্ষের নীচে একটি ভগ্ন ইষ্টক স্তৃপ আছে । উহা কৃত্তিবাসের দোলমঞ্চ নামে পরিচিত । আশপাশের জমি হইতে কৃত্তিবাসের জন্মভিট। অনেক উচ্চ। অনুমান হয় যে এই স্থান খনন করিলে অনেক অট্টালিকাদির সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে। কৃত্তিবাসের জন্মভিটার অতি নিকটে অবস্থিত হরিদাস ঠাকুরের সাধনপীঠ ফুলিয়ার অন্যতম দ্রষ্টব্য। বৈষ্ণব সাহিত্যে বর্ণিত আছে যে “যবন” হরিদাস বা ব্ৰহ্ম হরিদাস