পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ বাংলায় ভ্রমণ পৌছানো যায়। ইহার উপর হইতে কলিকাতা মহানগরী ও আশেপাশের দৃশু ছবির মত সুন্দর দেখায়। মনুমেণ্টে উঠিতে হইলে লালবাজারের পুলিশ অফিস হইতে ছাড়পত্র লইতে হয় । কেল্লা—ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে গঙ্গাতীরে “ফোর্ট উইলিয়ম” তুর্গ অবস্থিত। এই তুর্গটি অষ্টকোণ বিশিষ্ট ও পরিখার দ্বারা বেষ্টিত। ইহার চারিদিকে ঢালু মৃত্তিকার প্রাচীর দ্বারা বেষ্টনী দেওয়া আছে। এই দুর্গটিকে একটি ছোট খাট শহর বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । ইহার ভিতর প্রায় দশ হাজার সৈনিকের বাসোপযোগী ব্যারাক, গোলাগুলি ও অস্ত্রশস্ত্রের গুদাম, গির্জা, প্যারেডের মাঠ, দোকানপশার ও বাধানে রাস্তা আছে। এই দুর্গে যাতায়াত করিবার ছয়টি ফটক আছে। তুর্গ দেখিতে হইলে ছাড়পত্রের প্রয়োজন । প্রতিদিন বেলা একটার সময় এই তুর্গ হইতে তোপধ্বনি করা হয় । সেনোটাফ—মনুমেন্ট ও কেল্লার মধ্যবৰ্ত্তী রেড রোডের মোড়ে বিগত মহাযুদ্ধে নিহত সৈনিকগণের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি সেনোটাফ বা স্মৃতি-স্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। সেনোটাফ, ঈডেন উদ্যান—কলিকাতার অন্যতম প্রধান দ্রষ্টব্য ঈডেন গার্ডেন ময়দানের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। লর্ড অকল্যাণ্ডের ভগিনী মিসেস ঈডেনের উদ্যোগে ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে ইহা প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহার রচনা কৌশল অতি সুন্দর। এই উদ্যানটি সুন্দর সুন্দর তড়াগ, কুঞ্জ, পুষ্পবীথি, সেতু ও প্রশস্ত বত্ব দ্বারা মুশোভিত। ইহার মধ্যে একটি ব্রহ্মদেশীয় প্যাগোডা আছে। উহা ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে ব্রহ্মযুদ্ধের পর প্রোম হইতে আনীত হয়। শীতকালে ঈডেন উষ্ঠানে ক্রিকেট খেলা ও নানাপ্রকার প্রদর্শনীর আয়োজন হয়।