পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গদেশের হিন্দুর অবস্থান্তর উপায়। করিবার স্বত্ব, বা অর্থ প্রাপ্ত হইতেছে। যাহার জমি নাই, সে জমিদারকে জমি-ব্যবহারের বিনিময়ে কিছু দিয়া পরিশ্রম-সাহায্যে সামগ্ৰী উৎপাদনা করিতেছে। যাহার জমিও নাই, অর্থও নাই, সে ব্যক্তি জমিদার ও মহাজনকে তাহদের প্রাপ্য দিয়া নিজের প্রয়োজন অনুসারে চাষ, আবাদ বা খনি হইতে ধাতু উত্তোলন করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিতেছে। কেহ বা এই উৎপন্ন সামগ্ৰী অন্য স্থানে লইয়া তাহাকে অধিক মূল্যযুক্ত করিয়া লাভবান হইতেছে, কেহবা সামগ্ৰী রূপান্তরিত ' করিয়া বা অধিককাল মজুত রাখিয়া অধিক মূল্য লইতেছে। আবার কেহ বা উৎপন্ন বা প্ৰস্তুত সামগ্রীর গ্রাহক সংগ্ৰহ করিয়া ঐ সামগ্রীর ংশ বা তুল্য মূল্য অর্থ গ্রহণ করিতেছে। কেহ বা ওকালতী বা চিকিৎসা করিয়া বা বিদ্যাদান প্রভৃতি কাৰ্য্যের বিনিময়ে অর্থলাভ করিতেছে । ফলতঃ যে ব্যক্তি যে পরিমাণে সামগ্ৰী ভোগ করিয়া বা সঞ্চয় করিয়া জীবনযাত্ৰা নিৰ্বাহ করিতেছে, তৎসমস্তই বিনিময়সস্তৃত। যে ব্যক্তি কেবল ক্যায়িক পরিশ্রমের সাহায্যে উদরায়ের সংস্থান করি।-- তেছে, উহা তাহার কায়িক পরিশ্রমের বিনিময়ে প্ৰাপ্ত হইতেছে। যে ব্যক্তি উদরান্নের সংস্থান করিয়াও পরিধেয় ব্যবহার করিতেছে, এবং যে ব্যক্তি স্বীয় অভাবমোচন বা বিলাস-বাসনার পরিতৃপ্তির নিমিত্ত আরও নানাবিধ সামগ্ৰী ভোগ করিতেছে, ইহা অবশ্যই কোন না কোন সামগ্রীর বিনিময়ে সম্ভবপর হইয়াছে, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? যে ব্যক্তি উদ্যম ও অধ্যবসায়গুণে বা পরিশ্রম করিয়া, অথবা স্বকীয় পরিশ্রমলব্ধ দ্রব্যের বিনিময়ে অন্য সামগ্ৰী ভোগ করিয়া জীবনসংগ্রামে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিতেছে, তাহার সেই অবলম্বিত বৃত্তিকে বঙ্গভাষায় ব্যবসায় বলা যায়। কোন ব্যক্তির কি ব্যবসায়,-“এই কথা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি কি করেন, ইহাই বুঝায়। বস্তুতঃ ব্যবসায় কথার মৌলিক অর্থ ধরিলে-যথা বি-অব-সো ( উদ্যোগ করা, শেষ