Yo O विविथ eiयक्ष । বিশেষ, তখন ঐ অর্থের পরিবর্তে যে পরিমাণ চাউল বা যে পরিমাণ তৈল পাওয়া যাইবে, উহাই অর্থের মূল্য স্বরূপ। যদি এক মণ চাউল বা দশসের তৈলের পরিবর্তে অল্প অর্থ পাওয়া যায়, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে যে অর্থের মূল্য অধিক হইয়াছে এবং যদি এক মণ চাউল বা দশ সেরা তৈলের পরিবর্তে অধিক অর্থ পাওয়া যায়, তাহা হইলে অর্থের মূল্য । হ্রাস হইয়াছে বুঝিতে হইবে। অতএব অর্থের দ্রব্যসামগ্ৰী ক্রয় করিবার শক্তিই উহার মূল্য এবং দ্রব্যাদির মূল্য ও অর্থের মূল্য পরস্পর বিপরীত ভাবাপন্ন। উহাদের পরস্পরের সম্বন্ধ তুলাদণ্ডের পাল্লার ন্যায়। যদি একটা উখিত হয়, অপরটি নিম্নগামী হইবে, এবং অপরটা উখিত হইলে অন্যটী নিম্নগামী হইবে । - কোন দ্রব্যের আমদানী অর্থে সেই দ্রব্য বিক্রয়ার্থ প্রস্তুত আছে, বুঝায়, কিন্তু অর্থের আমদানী হইয়াছে বা উহা বিক্রয়ার্থ প্ৰস্তুত আছে, এরূপ কথা সাধারণতঃ শুনা যায় না। প্ৰকৃতপক্ষে যখনই কোন দ্রব্য অর্থে ক্রীত বা অর্থ লইয়া বিক্রীত হয়, তখনই বুঝিতে হইবে যে অর্থও ঐ দ্রব্যের ন্যায় ক্রীত বা বিক্রীত হইয়া থাকে। যখন কেহ শম্ভ বা তুলা বিক্রয় করেন, তখনই মুদ্রা ক্ৰয় করেন এবং র্যাহারা ঐ গুলি ক্ৰয় করেন, তঁাহারা বিক্রেতাগণকে অর্থ বিক্ৰয় করেন । এই তা আমাদের “পন্থা ও পাথেয়।” পথিকের সংখ্যা অধিক বলিয়া পাথেয়। আর অধিক পাওয়া যাইতেছে না ; তাহার উপর ইহার ক্রয়কারিণী শক্তির কি অসম্ভব হ্রাস । এখনও কি এই অল্প মূল্যের সামগ্ৰী প্ৰাপ্তির নিমিত্ত আমাদের এই পথ অনুসরণ করা উচিত ? অন্যান্য যে সকল দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য বাড়িয়াছে সেইগুলির উৎপাদন ও প্ৰস্তুতিকল্পে আমাদের প্রাণপণে চেষ্টা করা উচিত ? আমরা দেখিতেছি। CĮ TSf3 Cf লোকবৃদ্ধির অনুপাতে অধিক ধন সামগ্ৰী উৎপন্ন হইতেছে না। বলিয়া দেশের মূলধন বৃদ্ধি পাইতেছে না ও সুন্দ কমিতেছে
