পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনভোগ। S&S বাস্তবিক পক্ষে লোকে যখন কোন ধনসামগ্ৰী ব্যবহার করে, তখন বিশেষ কোন কারণ উপস্থিত না হইলে উহা কোন দেশে উৎপাদিত বা খরিদ করিলে কোন দেশের লোকের ধনাগম হইবে, একথা ভাবিয়া দেখে না । ধন অধিক ব্যবহার করিলে সন্তানসন্ততির থাকিবে না, এই কথাই অধিকাংশ লোকের মনে জাগরিত হয়। নিজে ব্যবহার করিয়া উদ্ধৃত্তি ধন যে জাতি বংশধরগণের জন্য রাখিয়া দেয়, সে জাতির আর এক পুরুষে ধনের অভাব থাকে না। কিন্তু ঐ ধন শীঘ্ৰ অপরিমিত ভাবে ভোগ করিয়া নষ্ট করিলে পুনরায় অভাব দেখা দেয়। এ দেশের স্ত্রীলোকদিগের মুখে শুনা যায়, “পেটে বাণিজ্য, পেটে দারিদ্র্য” । এই কথা অতীব সমীচীন । আহারীয় ও পানীয় সামগ্রী একবার মাত্ৰ ভোগ করা যায় ; অতএব অধিক মূল্যের ঐ জাতীয় সামগ্রী অপরিমিত ভোগ করিলে ধননাশ হয় এবং যে দেশে যে পরিমাণে ধনাগম হয়, তদপেক্ষা অধিক ভোগ করিতে হইলে স্বতঃই সেই দেশে দরিদ্রতা উপস্থিত হইয়া থাকে। অতএব ধন-ব্যবহারের উপর জাতির পনবাত্ত বা দরিদ্রতা নির্ভর করে । এই জন্যই পরিণামদৰ্শিতা ও বহু পরিশ্রমে ধন উপাৰ্জিত হইলে কিরূপে তাহা ভোগ বা ব্যবহার করিতে হয়, তাহাই ধনভোগে আলোচিত হইয়া থাকে । পূর্বে বলা হইয়াছে, ধনবিশেষের ভোগে উহার ক্ষয় নির্ভর করে। আহারীয় সামগ্রী একবারমাত্র ভোগ করা যায় ; অনেকবার ব্যবহার করা যায়, এমন সামগ্ৰীও আছে ; আবার অন্য প্রকারের এরূপ সামগ্ৰীও আছে, যাহা ব্যবহারযোগ্য না হইলে বিনিময়সাধ্য হয় না ; আবার এরূপ সামগ্ৰী আছে, যাহা ভোগ করিতে করিতে অব্যবহাৰ্য্য হইলেও বিনিময়সাধ্য হইয়া থাকে । আহারীর সামগ্ৰী বিনা মানুষের জীবনধারণ হয় না ; কিন্তু অধিক মূল্যের আহারীয় সামগ্ৰীও একবার ভোগেই বিনষ্ট হইয়া যায়। পরন্তু Эo