ংসগণ। ar V9 কখনও ধৰ্ম্মপ্ৰাণ কখন কুচক্রী, বাহে অমায়িক অন্তরে সঙ্কীর্ণ, ধনী বা উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারীর নিকট বিনয়ী এবং নির্ধন ও নিম্নতম পদস্থের নিকট আত্মগরিামযুক্ত, সমাজে নাম-অর্জনে বা রাজার সম্মানরক্ষাৰ্থ বা উপাধিব্যাধিগ্রস্ত হওয়ায় মুক্ত-হস্ত, অথচ আত্মীয়ের দুঃখে অবিচলিত ও দ্ররিদ্রের হৃদয়বিদারক কাতর কণ্ঠনিঃসৃত প্রার্থনায় বধির—এবম্বিধ ব্যক্তির সাক্ষাৎ-লাভই সর্বদা ঘাঁটিয়া থাকে। আমরা যে মুহুর্তে বিদ্যাগুণে আকৃষ্ট হইয়া চরিত্রহীনতা উপেক্ষা করি, ধৰ্ম্মগুণে আকৃষ্ট হইয়া কুচক্র দোষাবহ বলিয়া মনে করি না, বিনয়ে আকৃষ্ট হইয়া আত্মগরিমা উপেক্ষা করি, দানে মুগ্ধ হইয়া সঙ্কীর্ণতা উপেক্ষা করি, সেই সময়েই दख्रि বিশেষের চরিত্রহীনতা, কুচক্র, আত্মগরিমা, সঙ্কীর্ণতা ইত্যাদির প্রশ্ৰয় দিই, অথবা তাহাদের বহিঃপ্রকৃতির সহিত অন্তঃপ্রকৃতির যে, সামঞ্জস্য নাই, তাহা বুঝিয়া ও বুঝি না । কেবল কি আমরা ঐ দোষগুলির প্রশ্রয় দিই? আমাদের অনেকেই সে গুলিকে হয় আবশ্যক বলিয়া অনুমান করেন, অথবা অলক্ষিত ভাবে অনুকরণ করিয়া ফেলেন। কিন্তু বিদ্বান, বা ধনী, বা বিনয়ী বাগদাতার কি সংসর্গের আবশ্যকতা নাই ? বিদ্বানও সাধুসঙ্গে চরিত্রবান হইতে ইচ্ছা করে, ধনীও সরল নির্ধনের সহবাসে সরলতা-শিক্ষার প্রয়াসী হয়, কপটধাৰ্ম্মিক যথার্থ ধৰ্ম্মপ্রাণের অভাব অনুভব করে, কপট বিনয়ীও যথার্থ বিনয়ীর অভাব অনুভব করিতে ইচ্ছা করে এবং কপট দাতাও উদার হইতে ইচ্ছা করে। একাধারে সমস্ত সদগুণ প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না। অতএব সৎসাহবাস বলিলে বাস্তবিক ব্যক্তি বিশেষের ভিন্ন ভিন্ন গুণের সহিত । সহবাস এবং উহাদেরই অসদগুণের পরিহার বুঝায়। কারণ একাধারে, ধৰ্ম্মপ্ৰাণ বিদ্বান, অথচ সাধু ব্যক্তির সঙ্গলাভ করিতে হইলে সংসার ত্যাগ করিয়া বনে যাইতে হয় এবং স্বভাবদোষে নির্দিষ্ট বহুজনবিদিত হতভাগ্যের সংসৰ্গ ত্যাগ করা কঠিন কথা নহে। বাল্যকালে সংসর্গের প্রভাব
