- বীরবাল নাটক । - సి{ চন্দ্র । (পত্র পাঠ করিয়া সবিস্ময়ে) এ পত্র আপনি কোথায় পেলেন । এও কি সম্ভব ! কুমার কখনই বিশ্বাসঘাতক হবেন না । রাজা । সে কি ? কি পত্র মন্ত্রি ? বৃত্তান্তটা কি বল না শুনি ? চন্দ্র । আজ্ঞা মহারাজ, এ কথাও কি মুখে অমৃতে অাছে ? রাধে মাধব ! এও কি সম্ভব ? রাজা । পত্ৰখানা কি পড়ন শুনি ? চন্দ্র । এ পত্রে অামার বিশ্বাস হয় না । এ পত্র আমি পড়তে পারব না। মহারাজ নিজে দেখুন । - রাজা । কৈ দেখি । ( পত্র গ্রহণ ও পাঠ ) সৰ্ব্বনাশ ! মন্ত্ৰি ! এ পত্ৰ তুমি কোথায় পেলে ? - মন্ত্রী । অজ্ঞে, আমি রাজসভা হতে গৃহে যাচি, এমন সময় একজন প্রহরী এসে বলে যে বক্রদীঘির নিকটে কতকগুলিন্ দস্থ্যতে একজন পথিককে হত করেচে, সেই ব্যক্তিরই হুস্তে এই পত্ৰখানি ছিল । প্রহরীস্বামী মধুলাল এখনি আমার নিকট প্রেরণ করেচে। তার পর পত্ৰখানির শিরোনামা প’ড়ে দেখি যে ত্রিপুরার মহারাজা কুমার শশিশেখরকে এ পত্ৰখনি লিখেচেন । আবার পত্রের উপরে “ গোপনীয় পত্র ” লেখা দেখে আমার বড় সন্দেহ হলো, সেই জন্যই পত্ৰখানি খুলে । দেখলেম । বিধাভার অনুগ্রহে যে পত্ৰখানি আমাদের হস্তে পড়েচে এ আমাদের পরম সৌভাগ্য । Ko. রাজু। মন্ত্ৰি ! এও কি সম্ভব ? '. "...' মন্ত্রী । মহারাজু! কার মনে কি আছে কে বহুতে পারে ? ', মানব জাতির বাহ্যিক ভাব দেখে ভার অন্তরের কথা কখনই । অনুভব করা যায় না । , . . . . .
