পাতা:বোধমুক্তাবলি (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

j دهه ] ধীরগণ প্রতি যথা কৰ্ত্তব্য । পণ্ডিত বিনা সভার সোর্তা নাই, এবং সদালোচনার সম্ভাবনা নাই ও সৎ পথের পথিক হওয়ার উপায় নাই, পণ্ডিতের আশ্রয়ে কেবল ধৰ্ম্ম সঞ্চার হয় এমত নহে । বৈষয়িক কৰ্ম্ম সমুহ নিৰ্ব্বাহেরও অনেক উপকার হয়, এতাবতা পণ্ডিতকে আশ্রয় দেওয়া এবং পণ্ডিতের আশ্রয় নেওয়া মনুষ্যের পক্ষে নিতান্ত কৰ্ত্তব্য, অতএব যে মতিমান ব্যক্তিগণ পণ্ডিত জনকে আশ্রয় দিবেন, তাহার কৰ্ত্তব্য হইবেক যে পণ্ডিত জনের সৎপরামর্শ গ্রহণ করত তাক৷দিগের সন্মান সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেন । আর সমাদর পূর্বক সময়ে ২ শাস্ত্রালাপে তাহাদিগের উৎসাহ বৃদ্ধি এবং মনোরঞ্জন করেন (অর্থ সাহায্যের কথা লিখা বাহুল্য, যেহেত্তক বিনা অর্থে । নিৰ্ব্বিষয়ী ব্যক্তি ভিন্ন কেহ কহরে আশ্রয়ে থাকিতে পারে না)। সুভাস্থ আশ্রিত পণ্ডিতগণের কৰ্ত্তব্য হইবেক যে সৰ্ব্বদ সদুপদেশ দ্বারা প্রভুকে সৎপথে আনয়ন পুৰ্ব্বক রাজ্যের কুশল এবং ধৰ্ম্মরক্ষা করেন। মুখের প্রতি যথা কৰ্ত্তব্য । সমুহ গুণ ও বিদ্যা সম্পন্ন ব্যক্তিই পণ্ডিত । নিৰ্ব্বিদ্য অথচ সমূহ দোষ সম্পন্ন ব্যক্তিই মুখ ভদ্ধেত্ত্বক সহসু মুর্থ হইতেও এক পণ্ডিত শ্রেষ্ঠ, অতএব মুর্থের সংসর্গ পরিবর্জনীয়, এবং পণ্ডিত সংসর্গ সৰ্ব্বদা সমাশ্রয়ণীয় ই যথার্থ বটে, কিন্তু অন্ধ ব্যক্তিকে কিম্বা অন্য কাছাকেও ভ্রম, ক্রমে ৰিপথাশ্রয়ে কুপে পতন হইতে দেখিলে, যেৰূপ উপদেশ দিয়া কি কর গ্রহণ করিয়া যথার্থ পথে আনিয়া দিতে