বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তরখণ্ড রাধাহৃদয়.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৬ ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ উত্তর দর্শয়ে ভামুতয় মদনত্ত্বমিতো ধমে । ৫৯ ৷৷ - অস্যার্থঃ | রে অবলে! রে অধমে । রে ভানুতনয়ে ! কিঞ্চিৎক স্থিরহও এইতোমাকে আমি তপন তনয় সদন দর্শন করাইতেছি। পশ্চাৎ তুমি আমার যাহা করিতে পার তাহা করিবে এক্ষণে তুমি আমার আহার ভূত উপস্থিত হইয়াছ। । ইতি ভাবঃ ॥ ৫৯। ইত্যুত্ত্ব বচন স্যং ব্যাদায়ামস্থ বিস্তরং । গ্ৰস্তুকামো গমৎ ক্ষিপ্ৰং রাহুশচন্দ্ৰমসং যথা || ৬০ | অস্যার্থঃ । নিশাচর এই কথা বলিয়া অনেক আয়াম পরিমিত বদন বিস্তার করতঃ সখীগণ সহিত শ্রীরাধিকাকে গ্রাস করিবার বাসনায় অতিশীঘ্ৰ আগমন করিতে লাগিল, যেমন পূর্ণশশধরকে রাহুগ্রহ গ্রাস করিবার জন্য গমন করিয়া থাকে ৬০ { তমাপতন্ত মালোক্য বিস্তৃতাস্যং ত্রিযোজনং। অচিন্তয় দমেয়াত্মা কথমেতদ্বয়ং ভবেৎ ৷৷ ৬১ ৷৷ অস্যাৰ্থ । তিনযোজন পথ ব্যাপিয়া মুখ বিস্তার পুৰ্ব্বক ঐ মহারাক্ষস আগমন করিতে লাগিল, অপরিমেয় আত্মা মহাদেবী শ্রীরাধিক তখন আত্ম মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন, এক্ষণে জামাদিগের কৰ্ত্তব্য কি ? কিৰূপে আত্ম সখীদিগের পরিত্রাণ হইবে ॥ ৬১ ৷৷ সাধুনামবলম্বস্যা ঘোরাপদ সরাহ্মসাৎ ৷ বধোস্য দুষ্টশত্রোশ্চ বিনাশহিংসয়া ভবেৎ।। ৬২ ৷৷ অস্যার্থঃ । অনন্তর দেবী রাক্ষস হইতে সঙ্কট প্রাপ্ত সাধুদিগের পরিত্রাণ পথাবলম্বিনী হইয়। উগ্রভাব ঐ দুরন্ত শত্রুরবধ চিন্তাকরিলেন, অর্থাৎ বাহ বিক্রম প্রকাশ না করিয়া সাম্যৰূপে বিনাশ করিতে ইচ্ছা করিলেন ।। ৬২ ৷৷ - এবং চিন্তাপরতাঙ্গী সালীং ক্ষুৎক্ষমিকর্ষিতঃ। জগ্ৰাস তরস ভ্যেত্য বদনাদুদরং গত: || ৬৩। অস্যার্থঃ । এই ৰূপ চিন্তাপন্ন মহাদেবী রাধিক সর্থীগণের সহিত দণ্ডায়মান হইলেন। অনন্তর ক্ষুৎক্ষামে পরীত রাক্ষস অতি বেগে আগত হইয়া সখীগণের সহিত রাধিকাকে বিস্তৃত বদনে গ্রাস করিল, গ্রস্তমাত্রে মহাদেবী বয়স্য গণের সহিত তাহার মুখ হইতে উদরমধ্যে প্রবেশিত হইলেন || ৬৩ ৷৷ বৰ্বধে সাত্মন আনং তড়িচ্চপল ৰূপিণী । দশষোজন বিস্তারং ৰূপেণ বহতী শুভ ।। ৬৪ ।